top of page

বাংলা কম্পিউটার নোট বুক

প্রশ্ন: কম্পিউটার ও কম্পিউটার আবিস্কারের ইতিহাস।

কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ কম্পিউটেরিয়া থেকে। কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনা করা। কম্পিউটার হল এমন একটি যন্ত্র যা কতগুলি নির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা
করে।কিন্ত বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের সংজ্ঞা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে। কোন সীমিত সংজ্ঞা দিয়ে আর কম্পিউটার গন্ডীবন্ধ করা যায় না। কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যাবহার। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যাবহার। সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব। চিকিৎসা ও মানবকল্যানেও এটি এক অনন্য সঙ্গী। এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।

কম্পিউটার আবিস্কারের ইতিহাসঃ-

  • ১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার হিসাব-নিকাশের জন্য হাতীর দাতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যাকে নেপিয়ারের অস্থি বলা হয়। নেপিয়ারের অস্থি ছিল এনালগ বা তুলনাভিত্তিক গণনা গন্ত্র।

  • ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসী বিজ্ঞানী রেইজ প্যাচক্যাল প্রথম গণনার যন্ত্র চাকার সাহায্যে তৈরিতে সক্ষম হন। যেহেতু চাকা দুই দিকেই ঘুরানো যেত তাই যোগ বিয়োগ করার কোন অসুবিধা হতোনা।

  • ১৬৭১ সালে বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ হটফ্রাইড ভন লিবনিজ আরেকটি গণকযন্ত্র তৈরি করেন যার সাহায্যে গুন ভাগ করা যেত। তিন শতাব্দী পূর্বে বর্তমানের সমতুল্য চার ফাংশন বিশিষ্ট ক্যালকুলেটরটিও তিনি নির্মাণ করেন।

  • ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন। আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসাবে পরিচিত বৃটিশ নাগরিক র্চালস ব্যাবেজের নাম স্মরন করা হয়ে থাকে। তিনি ১৮২৩ সালে সরকারের অনুদানে ডিফারেন্স ইঞ্জিল বা বিয়োগ ভিত্তিক গণনা যন্ত্র তৈরি করেন।

আদা আগুসতা ল্যাভল্যাচই পৃথিবীর প্রথাম কম্পিউটার প্রোগামার। প্রায় ১০৩৭-৪৪ সাল পযর্ন্ত আই বি এম কোম্পানীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউয়ার্ড আইফেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যায়ে পৃথিবীর প্রথম বৈদুতিক যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরী করেন। চার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক ইঞ্জিনের এ ছিল বাস্তবরূপ।

কম্পিউটারের উপাদানঃ-
কম্পিউটারের উপাদানগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

০১। হার্ডওয়্যারঃ কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতি প্রদানকারী উপাদান বা যন্ত্রাংশগুলিকে হার্ডওয়্যার বলে। এগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
                  (ক) ইনপুট : কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
                  (খ) রোসেশিং ইউনিট: হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড ইত্যাদি।
                  (গ) আউটপুট : মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার ইত্যাদি।

০২। সফট্ওয়্যারঃ একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিকভাবে সাজানো কম্পিউটারের যে নির্দেশমালা তাকে প্রোগ্রাম বলে। হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করার জন্য প্রোগ্রাম সমষ্টিকে সফটওয়্যার বলে। ইহা দুই প্রকার, যথা-
                 (ক) সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার: কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে।
                 (খ) অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার: ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করে।

০৩। হিউম্যানওয়্যারঃ ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত উপাদানকে (মানুষ) হিউম্যানওয়্যার বলা হয়।
০৪। ডেটাঃ প্রদত্ত তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে। এটি নিউমেরিক অথবা নোন-নিউমেরিক হতে পার

****

প্রশ্ন: কম্পিউটার কি ?

      What is computer?

কম্পিউটার একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। যা ব্যবহারকারীর নির্দেশনা, ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে গ্রহণ করে মেমরীতে জমা রাখে। অতঃপর গাণিতিক ও যুক্তিযুক্তভাবে প্রক্রিয়াকরণ করে। প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হওয়ার পর কাংক্ষিত ফলাফল আউটপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে প্রকাশ করে; এই যন্ত্রটিই কম্পিউটার নামে পরিচিত।

অথবা : “Computer is a machine that helps us manipulate information like word and numbers”

*****

প্রশ্ন: কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি?

কম্পিউটার (Computer) শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন কম্পুুটেয়ার (Computare) থেকে ¾ যার অর্থ গণনা করা। সে হিসাবে কম্পিউটার অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।

*****

প্রশ্ন:কম্পিউটারের সংগা বা কম্পিউটার বলতে কি বুঝায়?

      What  do you mean by computer?

“Computer is a set of electro mechanical device, which can sense electrical signal and logic. It can process this electrical signal according to the logic”

অর্থাৎ ‘‘কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সমাহার, যা বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে যৌক্তিক কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। এটা বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রূপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক কমান্ডের সাহায্যে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করে থাকে।’’

*****

প্রশ্ন:কম্পিউটার ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রসমূহ কি কি?

       Describe briefly the sectors where computer be used.

বর্তমান যুগে কম্পিউটারের ব্যবহার এত ব্যাপক যে, এর ব্যবহার নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরম্ন করে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবসায়-বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনা, প্রকাশনা, শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, শিল্প, বিনোদন, সংস্কৃতি এবং সমাজের সর্ব ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।

*****

প্রশ্ন: কম্পিউটার জেনারেশন কি এবং কত প্রকার?

       What is computer generation? How many types of computer generation.

Computer Generations (কম্পিউটারের প্রজন্ম):

কম্পিউটার যন্ত্রটি ক্রমঃবিবর্তন ও বিকাশ লাভের বিভিন্ন পর্যায়ে অতিক্রম করে র্বমান অবস্থায় এসেছে। কম্পিউটার যন্ত্রের এই বিবর্তন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং বিকাশের এক একটি ধাপ বা পর্যায়কে কম্পিউটারের প্রজন্ম বা জেনারেশন বলা হয়। কম্পিউটারের প্রজন্ম নিয়ে কিছুটা মতভেদ থাকলেও কম্পিউটারের যান্ত্রিক পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও উন্নয়নের ভিত্তিতে কম্পিউটারের প্রজন্মকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়:

(১) প্রারম্ভিক প্রজন্মের কম্পিউটার ¾ ১৯৩৭ হতে ১৯৫১ খ্রিঃ

     উদাহরণ:- UNIVAC, EDVAC, EDSAC, ENIAC,ABC ইত্যাদি পারম্ভিক প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ।

(২) প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার ¾ ১৯৫১ হতে ১৯৫৮ খ্রিঃ

     উদাহরণ:- IBM 650, IBM 704, IBM 705, IBM 709, MARK I, II, III  ইত্যাদি প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ।

(৩) দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার ¾ ১৯৫৮ হতে ১৯৬৫ খ্রিঃ

    উদাহরণ:- IBM 1400, IBM 1600, IBM 1620, ICL 1901, CDC 1604, RCA 301, RCA 305, NCR 305, NCR 300, GE 200 

    ইত্যাদি দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ।

(৪) তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার ¾ ১৯৬৫ হতে ১৯৭১ খ্রিঃ

     উদাহরণ:- IBM 360, IBM 370, GE 600, PDP 8,  PDP 11 ইত্যাদি তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ।

(৫) চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার ¾ ১৯৭১ হতে বর্তমান

     উদাহরণ:- IBM 3033, IBM 4341, IBM PC XT/AT, IBM PS/1, APPLE MACHINTOSH ইত্যাদি চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ।

 (৬) পঞ্চম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার।

      নিন্মে পঞ্চম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটারের কিছু বৈশিষ্ট দেয়া হ’ল:

  • এই প্রজন্মের কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হবে।

  • কম্পিউটারগুলো মানুষের ভাষাকে নিজস্ব ভাষায় রূপান্তর করে কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারবে।

  • কম্পিউটারগুলো সেকেন্ডে কয়েক’শ কোটি লজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

  • কম্পিউটার বর্তনীতে আলোকবাহী তন্ত্র বা ফাইবার অপটিকের প্রচলন হবে।

  • বিপুল শক্তিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের উদ্ভব ঘটবে।

  • স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ।

  • শ্রবণযোগ্য শব্দ দিয়ে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ।

  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিপ্লব সাধন ইত্যাদি।

*****

প্রশ্ন:কম্পিউটার কে আবিস্কার করেন?

উত্তর: কম্পিউটার উদ্ভাবনের কৃতিত্ত্ব কোন একক ব্যক্তির নয়। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দেশের অজস্র বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল কম্পিউটার। এ প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডের গণিতিবিদ চার্লস ব্যবেজ গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে তাঁকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। সে সময় তাঁকে একজন খামখেয়ালি ও ব্যতিকগ্রসত্ম মানুষ মনে করা হলেও তাঁর ধারনা ও পরিকল্পনার জন্য তিনি আধুনিক কম্পিউটারের জনক হয়ে আছেন। চার্লস ব্যবেজ ১৭৭২ সালে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। ১৮৭১ সালে চার্লস ব্যবেজের মৃত্যু ঘটে।

*****

প্রশ্ন:কম্পিউটারের শ্রেনী বিভাগগুলো কি কি?

      অথবা:  কোন কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ করা হয়?

      What is Classification of Computer?

উত্তর: Classification of Computers (কম্পিউটারের শ্রেণী বিভাগ সমূহ) :

দুইটি প্রধান বৈশিষ্টের ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ করা হয়:-

(১) কাজের ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে এবং (২) আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে।

** কাজের ধরণ ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ?

কাজের ধরণ ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে নিম্নোলিখিত তিনভাগে ভাগ করা যায়:-

(১) Analog Computer (এনালগ কম্পিউটার)

(২) Digital Computer (ডিজিটাল কম্পিউটার) দ

(৩) Hybrid Computer (হাইব্রিড কম্পিউটার)

  • Analog Computer ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ : চাপ, তাপ, তরল পদার্থের প্রবাহের ওঠা-নামা বা হ্রাস-বৃদ্ধি পেট্রোল পাম্পের জ্বালানি সরবরাহ ও মূল্য নির্ণয়ের কাজ, গাড়ী, উড়োজাহাজ, মহাকাশযান ইত্যাদির গতিবেগ, বায়ু এবং কোন বিশেষ স্থানের বা কক্ষের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য এনালগ কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

  • Digital Computer ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ : প্রচলিত অর্থে কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বুঝানো হয়। এরূপ কম্পিউটারের মূলে রয়েছে বাইনারি ডিজিট তথা ০ (শূন্য) এবং ১ (এক)। এই দুইটি মাত্র সংখ্যা দ্বারা সব ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার মূলত গাণিতিক নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং সূক্ষ্ণ ও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম হয়।

  •  Hybrid Computer ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ : এনালগ ও ডিজিটাল এই দুই শ্রেণীর কম্পিউটারের প্রযুক্তির সমম্বয়ে মিশ্র প্রযুক্তিতে তৈরী কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলা হয়। বিশেষ ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম কাজে এবং হাসপাতালে রোগীর রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া, শরীরের তাপমাত্রা ইত্যাদি উপাত্ত গ্রহণ করে সেগুলো ডিজিটাল সংখ্যা ও সংকেতে রূপান্তর করে রোগের অবস্থা প্রকাশ করা রজন্য হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

*****

প্রশ্ন:আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ কি?

আকার ও ক্ষমতার ভিত্তিতে কম্পিউটারকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:-

          (১) Super Computer (সুপার কম্পিউটার)

          (২) Mainframe Computer (মেইন ফ্রেম কম্পিউটার)

          (৩) Miniframe Computer (মিনিফ্রেম কম্পিউটার)

          (৪) Micro Computer (মাইক্রো কম্পিউটার)

  • Super Computer: সুপার কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী, দ্রম্নতগতিসম্পন্ন এবং ব্যয়বহুল। আকৃতির দিক হতে সর্ববৃহৎ এ শ্রেণীর কম্পিউটারগুলোর তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা, কার্য সম্পাদনের বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি অবিশ্বাস্য রকমের। বর্তমানে ব্যবহৃত সুপার কম্পিউটারগুলোতে একসঙ্গে একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। সুক্ষণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশেস্নষণ, নভোযান, জঙ্গী বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র, মহাকাশ গবেষণা, পরমাণু চুলস্নী ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

উদাহরনঃ  Super SXII, Cary X-mp, Dip Blue ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য সুপার কম্পিউটার।

  • Mainframe Computer: মাইক্রো ও মিনি কম্পিউটার অপেক্ষা উন্নত ও আকারে বড় এমন কম্পিউটারকে বলা হয় মেইনফ্রেম কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের সাথে একাধিক ইনটেলিজেন্স ও ডামি টার্মিনাল সংযোগ করে একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী কর্তৃক ব্যবহার উপযোগী করা যায়। গতিশীলতা, আকার ও ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে এই কম্পিউটার সুপার কম্পিউটার অপেক্ষা কম ক্ষমতা সম্পন্ন। বৃহৎ ফার্ম, গবেষণা, বীমা, শিক্ষা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কম্পিউটার সুবিধা দিতে পারে।

উদাহরনঃ IBM4341, UNIVAC 1100/01, NCR N8370 ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য মেইনফ্রেম কম্পিউটার।

  • Miniframe Computer: সাধারণ ধারনায় বলা যায় বড় নয় অথচ বেশী ছোটও নয় এমন ধরনের মাঝারী আকারের কম্পিউটারকে মিনি কম্পিউটার বলে। এই কম্পিউটারের সাথে কতিপয় টার্মিনাল সংযোগ করা যায়। যার ফলে এই কম্পিউটার একই সাথে কতিপয় ব্যবহারকারী কর্তৃক এবং কতিপয় কাজের নিমিত্তে ব্যবহারযোগ্য। ব্যাংকের ন্যাং অর্থলগ্নী গুরম্নত্বপূর্ণ ও জরম্নরী সার্ভিসে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার অধিক সুবিধা দিতে পারে।

          উদাহরনঃ IBM S/34, IBM S/36, PDP11, NOVA3 ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য মিনি কম্পিউটার।

  • Micro Computer: মাইক্রো (Micro) শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র। সাধারণতঃ আমরা যে সমসত্ম কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি সেগুলোকে বলা হয় মাইক্রো কম্পিউটার বা Personal Computer (PC) এই কম্পিউটার একই সময়ে মাত্র একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে। আধুনিক বিশ্বে এর ব্যবহার সর্বাধিক জনপ্রিয়। যার মূল্য সহজ ও সাধারণের নাগালের মধ্যে। এই কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ হিসেবে Micro Processor এর ব্যবহার সুবিধা এত বিদ্যমান। অফিস-আদালত, খেলা-ধূলা, গৃহস্থালী কাজ, চিত্ত বিনোদন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং ব্যক্তিগত কাজে এর ব্যবহার ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচেছ। বর্তমানে এই কম্পিউটার ব্রিফকেজ ও ছোট বইয়ের আকৃতিতেও বাজারজাত হয়েছে। এতে একক বোর্ড বিশিষ্টি বর্তনী ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।

          উদাহরন: IBM PC, TRS80, APPLE64, MACHINTOSH উল্লেখযোগ্য মাইক্রোকম্পিউটার।

মাইক্রো কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ: গঠন ও আকৃতি ভেদে মাইক্রো কম্পিউটারকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যথাঃ

(১) ডেস্কটপ কম্পিউটার (Desktop Computer)

(২) ল্যাপটপ কম্পিউটার (Laptop Computer)

(৩) পামটপ কম্পিউটার (Palmtop Computer)

(৪) নোটবুক কম্পিউটার (Notebook Computer) এবং

(৫) হোম কম্পিউটার (Home Computer)

*****

প্রশ্ন:কম্পিউটারের বৈশিষ্ট গুলো কি কি?

      What is the characteristics of a Computer?

কম্পিউটার একটি বহুবিধ বৈশিষ্টসম্পন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র। অন্যান্য যন্ত্রের ন্যায় কম্পিউটারেরও সুনিদিষ্ট বৈশিষ্ট বিদ্যমান। যে সকল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে কম্পিউটার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ যন্ত্রে রূপামত্মরিত হয়েছে তার প্রধান প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট নিম্নে আলোচনা করা হলো:-

  • দ্রতগতি (High Speed): কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো এটা দ্রম্নত গতি সম্পন্ন। কম্পিউটার অতিদ্রুততার সাথে মানুষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফলাফল প্রদান করতে পারে। কম্পিউটারের এই গতিতে বলা ন্যানো সেকেন্ড। আর ন্যানো সেকেন্ড হলো এক সেকেন্ডের একশ কোটি ভাগের এক ভাগ সময়। কম্পিউটার এক ন্যানো সেকেন্ড সময়ে লক্ষ কোটি যোগ, বিয়োগ, গুন ভাগ ইত্যাদি কার্যাবলী করতে পারে। কম্পিউটারের কাজের দ্রতগতি বোঝানোর জন্যই সময়ের এ সকল ক্ষুদ্রতম বিভাজন করা হয়েছে। নিম্নে এ সকল বিভাজন উলেস্নখ করা হলো।

1 Second          = 1000 Mili second.

1 Mili second   = 1000 Micro second.

1 Micro second     = 1000 Nano second.

1 Nano second     = 1000 Pico second.

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, সাধারণ একটি যোগ করতে কম্পিউটারের সময় লাগে ৫০ ন্যানো সেকেন্ড। অর্থাৎ কম্পিউটার এক সেকেন্ডে এমন দুই কোটি যোগ সম্পন্ন করতে পারে। তাই দেখা যায় একজন সাধারণ মানুষের একশত বছরের কাজ একটি সাধারণ কম্পিউটার তা মাত্র এক ঘন্টার সম্পন্ন করতে পারে।

  • নির্ভুলতা (Accurancy): নির্ভুলতা কম্পিউটারের আর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অধুনিক কম্পিউটার প্রমাণ করেছে, মানুষ ভুল করতে পারে; কিন্তু কম্পিউটার ভুল করে না। মানুষের দ্বারা কম্পিউটার পরিচালিত হয়। অর্থাৎ মানুষ তথ্য যোগান দিতে ভুল করলে কম্পিউটারও ভুল ফলাফল দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের দেয়া ভুল তথ্য কম্পিউটার ধরে ফেলে এবং মানুষ তা সংশোধন করে দিলে কম্পিউটার নির্ভুল ফলাফল প্রদানে সক্ষম হয় এবং তথ্য বা উপাত্তের ভিত্তিতে ১০০% নির্ভুল ফলাফল প্রদান করে।

  • ক্লান্তিহীনতা (Dilligence): ক্লান্তিহীনতা কম্পিউটারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। অবিরামভাবে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। অভ্যন্তরীন কোন ক্রুটি কিংবা বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্রুটি না থাকলে কম্পিউটার রাত-দিন ক্লান্তিহীন, বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে।

  • স্মৃতি (Memory): কম্পিউটারে বিশাল স্মৃতি শক্তি রয়েছে। কোটি কোটি ডেটা ও নির্দেশ তাতে সংরক্ষণ করা যায়। কম্পিউটার সহায়ক স্মৃতি ব্যবহার করে যেকোন পরিমাণ তথ্য স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে পারে এবং দ্রততম সময়ে অবিকৃতভাবে তা স্মরণ করতে পারে।

  • স্বয়ংক্রিয়তা (Automation): কম্পিউটার স্বয়ক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারকে কোন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা প্রদান করলে কম্পিউটার নিজে থেকেই সম্পূর্ণ কাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধা করতে পারে।

  • ব্যবহারের বহুমুখিতা (Versatility): ব্যবহারের বহুমুখিতা কম্পিউটারের আর একটি বৈশিষ্ট্য। একজন মানুষ কোন একটি বিশেষ কাজের জন্য পারদর্শী হতে পারে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রসমূহও একটি বিশেষ কাজ করার জন্য তৈরী করা হয়ে থাকে। কিন্তু কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা দিয়ে সাধারণ হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে জটিল কাজকর্ম তথা বৈজ্ঞানিক সমস্যা, গবেষণা ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা যায়।

  • বিশ্বাসযোগ্যতা (Trustworthy): বিশ্বাসযোগ্যতা কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সঠিক তথ্য যোগান দিলে কম্পিউটার যে ফলাফল প্রদান করে তাতে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে ১০০%।

  • সুক্ষণতা (Fineness) : কম্পিউটার অতি সূক্ষ্ন ফলাফল প্রদান করে। যেমন: গানিতিক হিসাবের ক্ষেত্রে কম্পিুউটার অনেক বেশী দশমিক স্থান পর্যন্ত ফলাফল প্রদান করে।

  • ধারণ ক্ষমতা (Capacity): কম্পিউটারে আছে সুবিশাল তথ্য ধারণ ক্ষমতা। এজন্য হার্ড ডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক, টেপ, সিডি ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।

  • যুক্তি সংগত সিদ্ধান্ত (Reasonable decision): কম্পিউটার কেবল গাণিতিক প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করতে পারে তা নয়; প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার থেকে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তও অর্জন করা যায়।

*****

প্রশ্ন: What is Boot-up?

সিস্টেম বক্স-এর পাওয়ার সুইচ চাপ দিয়ে Start এবং Re-start করাকে Boot up বলা হয়।

প্রশ্ন: Booting Period কি বা কাকে বলে? What do you mean by Booting period?

সিস্টেম বক্স-এর পাওয়ার সুইচ অন করার পর কম্পিউটারে কাজ করার মত উপযোগি হওয়া পর্যন্ত সময়কে Booting Period বলা হয়।

প্রশ্ন: Boot up কত প্রকার ও কি কি? How many types of Boot-up? What are they?

Boot up দুই প্রকার যেমন:- প্রথমত: Cold Boot এবং দ্বিতীয়ত: Warm Boot.

Cold Boot:- সিস্টেম বক্স-এর পাওয়ার সুইচ অন করে কম্পিউটার চালু করাকে Cold Boot বলে।

Warm Boot:- Re-start বা Ctrl+Alt+Delete কী একসাথে চাপ দিয়ে পূণরায় কম্পিউটার চালু করাকে Warm Boot:- বলে।

*****

প্রশ্ন: কম্পিউটারের উপাদান গুলো কি কি?

       How many types of computer elements?

কম্পিউটারের উপাদান গুলোকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন:-

(১) ইনপুট ডিভাইস (Input Device)

(২) আউটপুট ইউনিট (Output Device) এবং

(৩) সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit)

(১) ইনপুট ডিভাইস (Input Device): কম্পিউটার দিয়ে কোন কাজ করতে চাইলে প্রথমেই এর ভিতরে তথ্য বা প্রোগ্রাম প্রবেশ করাতে হয় (হবে)। যে সমসত্ম হার্ডওয়্যার ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে তথ্যবলী প্রেরণ করা যায় সেই সমসত্ম ডিভাইসকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন- কি-বোর্ড, মাউস, সিডি/ডিভিডি রোম, স্ক্যানার, জয়স্টিক, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, পেন ড্রাইভ ইত্যাদি।

(২) আউটপুট ইউনিট (Output Device): ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদানকৃত ডাটা গ্রহণ করে প্রোসেস করার পর ফলাফল প্রদান করার জন্য যে যন্ত্র/যন্ত্রাংশগুলো ব্যবহার করা হয় তাহাকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন:- মনিটর, প্রিন্টার, পস্নটার, স্পিকার, প্রজেক্টর ইত্যাদি।

(৩) সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit): সিপিইউ কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ। এটি কম্পিউটারের মসিত্মস্ক স্বরূপ। Central Processing Unit তিনটি অংশে ভিভক্ত যেমন: গাণিতিক যুক্তি অংশ (Arithmetic Logic Unit), নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit) এবং অভ্যমত্মরীন স্মৃতি (Internal Memory) এ তিনটি অংশকে একত্রে সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট বলা হয়।

*****

প্রশ্ন: কম্পিউটারের ইতিহাস সম্পর্কে লিখ (সংক্ষেপে) ?

      Write about the history of computer (Short)?

উত্তর: কম্পিউটার নামক এ আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রটি একদিনে আবিস্কার হয়নি। কম্পিউটার আবিস্কার ও বিস্তারের পেছনে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানীদের অবিরাম পরিশ্রম ও গবেষণা। প্রাচীনকালে মানুষ সংখ্যা বোঝানোর জন্য বা অংক কষার জন্য নুড়ি পাথর, ঝিনুক ইত্যাদি ব্যবহার করতো। এরপর গণনা যন্ত্র হিসেবে এ্যবাকাসের ব্যবহার চালু হলেও মানুস এতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি। স্কটল্যান্ডের গণিববিদ জন নেপিয়ার (১৫৫০-১৬১৭) হিসাব-নিকাশের জন্য হাতির দাঁতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরী করেন যাকে নেপিয়ার-এর অস্থি বলা হয়। পরবর্তীতে ফরাসী বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল প্যাচক্যালিন তৈরী করতে সক্ষম হন। ব্লেইজ প্যাস্কেলের এ গণনাযন্ত্রের দীর্ঘ দিন পর ১৬১৭ সালে বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ লাইবনিৎস চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ করা যায় এ রকম একটি যন্ত্র অবিস্কার করেন। এটি বর্তমান বাণিজ্যিক ক্যালকুলেটরের আদিরূপ। ১৭৮৬ সালে ব্রিটিশ নাগরিক চার্লস ব্যবেজ (১৭৯২-১৮৭১) ‘‘ডিফারেন্স ইঞ্জিন’’ বা বিয়োগ ভিত্তিক গণনার যন্ত্র তৈরী করেন এবং ১৮৩৩ সালে তিনি ‘‘এ্যনালিটিক্যাল ইঞ্জিন’’ নামে আরেকটি যন্ত্র তৈরী করার পরিকল্পনা করেন যদিও অনুদানের অভাবে সেটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক ড. জন এটানাসফ ১৯৪২ সালে তার নিজের এবং ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণার কাজে সহায়তার জন্য বায়ুশূন্য টিউব বা ভাল্ভ ব্যবহার করে এবিসি নামে একটি ছোট ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার তৈরী করেন। এবিসি কম্পিউটার দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জন মউসলি ও তাঁর ছাত্র প্রেসপার ১৯৪৬ সালৈ ‘এনিয়াক’ (ENIAC- Electronic Numeric Integrator and Calculator) নামে একটি কম্পিউটার চালু করেন। এ কম্পিউটারে ১৮০০টি ভাল্ভ ছিল এবং এর ওজন ছিল ৩০ টন। এ যন্ত্র চালাতে ১৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হতো। ১৯৫০ সালে মসলি-একার্ট আরো অনেকের সম্মলিত প্রচেষ্টায় ‘এডভ্যাক’ (EDVAC- Electronic Discrete Variable Automatic Calculator) নামে একটি কম্পিউটার তৈরী করেন। এটিই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরী প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।

১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্টের আইবিএম-৭০১ মেশিন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আইবিএম (IBM-International Business Machine) কোম্পানি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটারের ব্যবসা শুরু করে। এরও অনেক পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কোম্পানি এমএসসি-৪ মাইক্রোপ্রসেসর তৈরীর মাধ্যমে মাইক্রো কম্পিউটারের প্রচলন শুরু হয়। বর্তমানে নিত্য নতুন প্রযুক্তি আবির্ভাবের ফলে দিন-দিন কম্পিউটারের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।

*****

প্রশ্ন: কম্পিউটার সংগঠন বলতে কি বুঝ? চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।

       What do you men by the computer organization? Explain it with diagram.

উত্তর : একটি পার্সোনাল মাইক্রো কম্পিউটারের দিকে তাকালে আমরা এর তিনটি অংশ দেখতে পাই। টিভির মত একটি অংশ যাকে বলা হয় মনিটর, একটি কী-বোর্ড এবং একটি বক্স যাকে বলা হয় সি.পি.ইউ বা সিস্টেম ইউনিট। সিস্টেম ইউনিটের ভিতরে অনেক যন্ত্রপাতিকে বলা হয় হার্ডওয়্যার। কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে এর উপর ভিত্তি করেই এর যন্ত্রপাতি সংগঠিত করা হয়। একটি কম্পিউটার ব্যবস্থাপনায় সংগঠিত যন্ত্রপাতি নিম্নলিখিত চারটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা:-

       ১। ইনপুট ডিভাইস (Input Device)

       ২। সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit)

       ৩। স্মৃতি ভান্ডার (Memory)

       ৪। আউটপুট ডিভাইস (Output Device)

 

 

 

 

 

 

(১) ইনপুট ডিভাইস (Input Device): কম্পিউটার দিয়ে কোন কাজ করতে চাইলে প্রথমেই এর ভিতরে তথ্য বা প্রোগ্রাম প্রবেশ করাতে হবে। যে সমস্ত হার্ডওয়্যার ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে তথ্যবলী প্রেরণ করা যায় সেই সমস্ত ডিভাইসকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন- কি-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, জয়স্টিক, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, পেন ড্রাইভ ইত্যাদি।

(২) সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট (Central Processing Unit): সিপিইউ কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক স্বরূপ। নিয়ন্ত্রক, গাণিতিক ও যুক্তি অংশ এবং মেমরি বা স্মৃতি কম্পিউটারের এ তিনটি অংশকে একত্রে বলা হয় সিসটেম ইউনিট বা কেন্দ্রিয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ। সিস্টেম ইউনিট নিম্নবর্ণিত প্রধান কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে যেমন:-

(ক) প্রোগ্রামের নির্দেশগুলো ক্রমানুয়ায়ী সাজিয়ে সেগুলোকে কম্পিউটারের গ্রহণযোগ্য ভাষায় রূপান্তর করা হয়।

(খ) বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে তুলনা করে তাদের মধ্যে ছোট বড় নির্ণয় করে।

(গ) গাণিতিক ও যুক্তি সম্পর্কিত উপাত্ত কম্পিউটারের এক অংশ থেকে অপর অংশে পরিবহণ করা।

(ঘ) স্মৃতি থেকে গণনার ফলাফল আউটপুট এককে পাঠানো।

​(৩) স্মৃতি ভান্ডার : কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারে যে সকল উপাত্ত বা নির্দেশাবলী ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে ইনপুট করা হয়; সেগুলো জমা রাখার জন্যে কম্পিউটারে যে নির্দিষ্ট অংশ থাকে তাকে স্মৃতি অংশ বলে। স্মৃতি (Memory) অংশের প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সমুহ সঞ্চয় করে রাখা। কম্পিউটারের স্মৃতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

(ক) প্রধান স্মৃতি বা মুখ্য স্মৃতি (Primary or main memory)

(খ) সহায়ক বা গৌণ স্মৃতি (Auxiliary or Secondary Memory)

​(৪) আউটপুট ইউনিট (Output Device): ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদানকৃত ডাটা গ্রহণ করে প্রোসেস করার পর ফলাফল প্রদান করার জন্য যে যন্ত্র/যন্ত্রাংশগুলো ব্যবহার করা হয় তাহাকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন:- মনিটর, প্রিন্টার, প্লটার, স্পিকার, প্রজেক্টর ইত্যাদি।

*****

Organization Diagram

প্রশ্ন: ডাটা কি?

      Define Data?

ডাটা (Data): ডাটা বলতে আমরা বুঝে থাকি পরস্পর বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতীক বা চিহ্ন। যেমন: ক, ১, দুটি ডাটা হতে পারে। আবার কোন নাম, সংখ্যা ইত্যাদিও ডাটা হতে পারে। যেমন. একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মাসিক বেতন এর হিসাব তৈরীর জন্য তাদের নাম, পদবী, কার্যদিবস ইত্যাদি পৃথক পৃথক ডাটা।

*****

প্রশ্ন: ইফরমেশন কি? উদাহরণসহ বর্ণনা আলোচনা কর।

What is information? Discuss with example.
উত্তর: ইনফরমেশনের (Information): ইনফরমেশনের একক হচ্ছে ডাটা। ডেটা শব্দটি ল্যাটিন ভাষা Datam এর বহুবচন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডেটাম হচ্ছে একক ডাটা, আর ডেটা হচ্ছে একাধিক ডাটা। ডেটাম কথার অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান। কম্পিউটারকে আমরা যেমন বুঝিয়ে থাকি কম্পিউটারও তেমনি বুঝে থাকে। এর একটি মাধ্যম হচ্ছে ডাটা। আমরা কম্পিউটারে ডাটা ইনপুট দিয়ে থাকি। কম্পিউটার আমাদের পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে সেই ডাটাকে প্রসেস করে আমাদের জন্য আউটপুট তৈরী করে সরবরাহ করে থাকে। একেই ডাটা প্রসেসিং বা ডাটা প্রক্রিয়াকরণ বলা হয়ে থাকে।

ডাটা কি?
ডাটা বলতে আমরা বুঝে থাকি পরস্পর বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতীক বা চিহ্ন। যেমন: ক, ১, দুটি ডাটা হতে পারে। আবার কোন নাম, সংখ্যা ইত্যাদিও ডাটা হতে পারে। যেমন. একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মাসিক বেতন এর হিসাব তৈরীর জন্য তাদের নাম, পদবী, কার্যদিবস ইত্যাদি পৃথক পৃথক ডাটা। কম্পিউটারে বিভিন্ন ডাটাকে একটি নির্দিষ্ট সুশৃঙ্খল নিয়মে সাজিয়ে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আউটপুট তৈরী করা হয়। তখন তাকে আমরা ইনফরমেশন বলে থাকি। ডাটা থেকে ইনফরমেশন তৈরী করা হয়। ইনফরমেশন ডাটার একটি সহজবোধ্য, কার্যকর ও ব্যবহারযোগ্য রূপ বা ফরমেট।
নিচের দু’টি চিত্র লক্ষ্যনীয়। বাম দিকের চিত্রে ডাটা বা উপাত্তগুলো বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে। এককভাবে প্রত্যেকের কোন না কোন অর্থ আছে কিন্তু সমষ্টিগতভাবে তাদের কোন অর্থ নেই। ডানদিকের চিত্রে ডাটা বা উপাত্তগুলো একটি বিশেষ রূপে বা ফরমেটে সাজানো হয়েছে। ফলে সেখান থেকে একটি ইনফরমেশন পাওয়া যাচ্ছে।

Rahim             Gard               ID

Salary    1500.00      Designation

         Manager   Karim       Day

1200   3000.00

              চিত্র: একাধিক ডাটা বা উপত্ত

ID              Name              Designation          Salary

501            Rahim              Manager              5000.00

502            Karim               Accountant          4500.00

             চিত্র: সুশৃঙ্খল ডাটা বা তথ্য

সুতরাং ইনফরমেশন হচেছ অর্থপূর্ণ কোন ডাটা যা আমরা কোন সিন্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহার করতে পারি। আর একটু পরিস্কারভাবে বলা যায় “সরবরাহকৃত ডেটা থেকে প্রক্রিয়াকরণের পর নির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খল যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকেই বলা হয় তথ্য বা ইনফরমেশন।” তথ্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন: নম্বরভিত্তিক ফলাফল, ছবি, অডিও, ভিডিও, ব্যবসায়িক রির্পোট, বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি।

*************************************************************************************************************

প্রশ্ন: কম্পিউটার দিয়ে কিভাবে ডাটা প্রসেসিং করা হয়?

      How computer is used to process data?

উত্তর: কম্পিউটার দিয়ে অতি দ্রম্নত নির্ভুলভাবে ডেটা প্রসেসিং করা যায়। এ ক্ষেত্রে ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা কম্পিউটারে প্রবেশ করা হয়। কম্পিউটার তার অস্থায়ী মেমোরিতে ডেটা রেখে প্রোগ্রামের নির্দেশ অনুযায়ী প্রসেসিং করে। কম্পিউটার প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী ডেটাকে বিভিন্নভাবে বিচার-বিশেস্নষণ করে এবং প্রয়োজনীয় গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বা যুক্তিনির্ভর সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করে এবং সবশেষে কাঙ্খিত তথ্যে উপনীত করে আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদর্শন করে। উদাহরণস্বরূপ বাম দিকে ডেটা প্রসেসিং এর চিত্র দেখানো হলো:-

*****

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন-১. কম্পিউটার কী? কম্পিউটার যন্ত্রাংশ গুলো কি কি?

উত্তর: কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। যাতে পূর্ব থেকে কিছু তথ্য দেয়া থাকে, যা ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে ইনপুটকৃত গাণিতিক ও যৌক্তিক ডাটা সমূহকে প্রসেসর দ্বারা প্রক্রিয়াকৃত সুনির্দিষ্ট আউটপুট প্রদান করে।
কম্পিউটার সংগঠনের অংশগুলো নিম্নরূপ:-

  • ইনপুট ইউনিট: যে ইউনিটের মাধ্যমে কম্পিউটারকে যাবতীয় তথ্য বা উপাত্ত প্রদান করা হয়, তাকে ইনপুট ইউনিট বলে। যেমন-

* কীবোর্ড;
* মাউস;
* স্ক্যানার;
* জয়স্টিক;
* লাইটপেন;
* ডিজিটাল ক্যামেরা;
* পাঞ্চকার্ড রিডার;
* অপটিকাল মার্ক রিডার;
* অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার এবং
* পেপার টেপ রিডার।

  • মেমরি ইউনিট: যে ইউনিটে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে উত্তোলন করা যায়, তাকে মেমরি ইউনিট বলে। যেমন-

* হার্ডডিস্ক;
* ফ্লপি ডিস্ক সিডি;
* ডিভিডি এবং
* ফ্ল্যাশ ড্রাইভ।
গাণিতিক ও যৌক্তিক ইউনিট: গাণিতিক ও যৌক্তিক ইউনিট যাবতীয় হিসাব যেমন: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি কার্য সম্পন্ন করে।
নিয়ন্ত্রণ ইউনিট: এই অংশ কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
আউটপুট ইউনিট: যে ইউনিটের মাধ্যমে কম্পিউটার যাবতীয় ফলাফল প্রদান করে, তাকে আউটপুট ইউনিট বলে। যেমন-
* মনিটর;
* প্রিন্টার;
* ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে;
* ফিল্ম রেকর্ডার;
* পীকার এবং
* মাইক্রোফোন।

****

প্রশ্ন-২. কম্পিউটারের কাজ লিখ।

উত্তর: কম্পিউটার নিম্নলিখিত ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যথা-
* সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি প্রোগ্রাম কম্পিউটার গ্রহণ করে মেমরিতে সংরক্ষণ করে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নির্বাহ করে;
* ইনপুট ডিভাইস-এর মাধ্যমে ডাটা গ্রহণ করে;
* ডেটা প্রসেস করে এবং
* আউটপুট ডিভাইস-এর মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করে।

****

প্রশ্ন-৩. সিপিউ কে কম্পিউটারের মস্তিস্ক বলা হয় কে?

উত্তর: কম্পিউটারের সাংগঠনিক অংশগুলোর মধ্যে সিপিউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারে কাজ করার সময় আমরা যে সব নির্দেশ দিয়ে থাকি সেগুলোর গাণিতিক বিশ্লেষণ, যুক্তিমূলক বিন্যাস, নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ; এক কথায় যাবতীয় প্রক্রিয়াকরণের কাজ এই অংশে হয়ে থাকে। প্রাণির মস্তিস্ক যেমন যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেহকে সচল রাখে, কম্পিউটার সিপিউ তেমনি যাবতীয় কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে কার্যউপযোগী রাখে। এজন্য সিপিউকে কম্পিউটারের মস্তিস্ক বলা হয়।

****

প্রশ্ন-৪. কম্পিউটারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর: নির্ভুলতা, দ্রুতগতি, সুক্ষতা, যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত, বহুমূখীতা, মেমরি, স্বয়ংক্রিয়তা এবং সহনশীলতা।

****

প্রশ্ন-৫. কম্পিউটারের মৌলিক সীমাবদ্ধতা কী ? কম্পিউটারের কি চিন্তা শক্তি আছে?

উত্তর: কম্পিউটার একটি যন্ত্র মাত্র। এর চিন্তা শক্তি নেই, নেই বুদ্ধিমত্তা বা বিচার বিশ্লেষণ এবং বিবেচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।

****

প্রশ্ন-৬. বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।

উত্তর: প্রথম প্রজন্ম (১৯৫১-১৯৫৯)
* আকারে বড় বিধায় প্রচুর তাপ উৎপাদনকারী;
* মেমরি অত্যন্ত অল্প;
* ভ্যাকুয়াম টিউব দিয়ে তৈরি;
* মেমরি চৌম্বকীয় ড্রামের;
* কোড ব্যবহার করে প্রোগ্রাম চালানোর ব্যবস্থা;
* এই কম্পিউটারের যান্ত্রিক গোলযোগ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পাওয়ার খরচ বেশি এবং
* এই প্রজন্মের কম্পিউটারে যান্ত্রিক ভাষায় প্রোগ্রাম লিখা হত।

দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫)
* এটিতে মডিউল ডিজাইন ব্যবহার করে সার্কিটের প্রধান প্রধান অংশগুলো আলাদা বোর্ডে তৈরি করা যেত;
* অধিক নির্ভরশীল, অধিক ধারণক্ষমতা এবং তথ্য স্থানান্তরের সুবিধা;
* সাইজে ছোট, গতি বেশি এবং বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন কম;
* ট্রানজিস্টর দ্বারা তৈরি ও মেমরি চুম্বক কোরের এবং
* অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লিখা হত।

তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১)
* বিভিন্ন প্রকার উন্নত মেমরি ব্যবস্থার উদ্ভাবন;
* ব্যাপক একীভূত বর্তনীর ব্যবহার;
* সাইজ ছোট বলে বিদ্যুৎ খরচ কম এবং
* উচ্চ ভাষা দিয়ে প্রোগ্রাম লিখা তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে শুরু হয়।

চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১- বর্তমান)
* উন্নত চিপ এর ব্যবহার ও ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার;
* বিশাল পরিমাণ মেমরি ও অত্যন্ত গতি এবং
* টেলিযোগাযোগ লাইন ব্যবহার করে ডাটা আদান-প্রদান।

পঞ্চম প্রজন্ম (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম)
* এই ধরণের কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ১০-১৫ কোটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
* শব্দের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। ফলে এই প্রজন্মের কম্পিউটার শুনতে পারবে এবং কথা বলতে পারবে।
* এই প্রজন্মের কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকবে। ফলে কম্পিউটার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহার করতে পারবে।
* ভিজুয়্যাল ইনপুট বা ছবি থেকে ডাটা গ্রহণ করতে পারবে।

****

প্রশ্ন-৭. অ্যাবাকাস কি?

উত্তর: অ্যাবাকাস হচ্ছে আড়াআড়ি তারে ছোট্ট গোলক বা পুঁতি লাগানো চারকোণা কাঠের একটি কাঠামো। এখনকার কম্পিউটারের মত অ্যাবাকাসও সংখ্যাকে সংকেত বা কোড হিসেবে বিবেচনা করে- কাঠামোতে তারের অবস্থান ও তারে পুঁতির উপস্থিতি সংকেত নিরূপন করে। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে ব্যাবিলনে এটি আবিস্কার হয় বলে ধারণা করা হয়। অ্যাবাকাস দিয়ে সাধারণত যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গ ও বর্গমূল নিরূপন করা যেত।

​প্রশ্ন-৮. অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন কী?
উত্তর: চার্লস ব্যাবেজ ১৮৩৪ সালে যেকোন প্রকার হিসাবকার্যে সক্ষম এরূপ একটি হিসাব যন্ত্রের পরিকল্পনা শুরু করেন। যাতে প্রোগ্রাম নির্বাহ ও পাঞ্চকার্ডে হিসাবকার্যের নির্দেশসমূহকে সংরক্ষণের পরিকল্পনা ছিল। এই যন্ত্রটি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে পরিচিত।

​প্রশ্ন-৯. চার্লস ব্যাবেজ কে? কেন তাকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়?

উত্তর: চার্লস ব্যাবেজ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। তিনি ১৮৩৪ সালে আধুনিক কম্পিউটারের মত নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক ও যৌক্তিক অংশ, স্মৃতি অংশ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্বলিত অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি মেকানিক্যাল কম্পিউটারের পরিকল্পনা করেছিলেন। চার্লস ব্যাবেজের এই যন্ত্রটি আধুনিক কম্পিউটারের পূর্বসূরি হয়ে আছে বলে চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

প্রশ্ন-১০. কাকে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং কেন?

 

উত্তর: ইংরেজ কবি লড বায়রনের কন্যা অ্যাডা অগাস্টাকে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে বিবেচনা করা হয় । কারণ তিনিই আধুনিক কম্পিউটারের পূর্বসূরি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-এর জন্য প্রোগ্রাম রচনা করেন।

 

প্রশ্ন-১১. মেমরিতে রক্ষিত প্রোগ্রাম নির্বাহের ধারণা কে প্রদান করেন?

উত্তর: ১৯৪৫ সালে প্রখ্যাত গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান সর্বপ্রথম মেমরিতে রক্ষিত প্রোগ্রাম নির্বাহের ধারণা প্রদান করেন।

​প্রশ্ন-১২. কম্পিউটার আবিস্কার করেন কে ? কেন তাকে কম্পিউটারের আবিস্কারক বলা হয়?

উত্তর: কম্পিউটার আবিস্কার করেন হাওয়ার্ড এইচ একিন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইবিএম এর যৌথ উদ্যোগে এবং হাওয়ার্ড এইচ একিন-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৪৩ সালে মার্ক-১ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কম্পিউটার নির্মিত হয়। এজন্য হাওয়ার্ড এইচ একিন কে কম্পিউটারের আবিস্কারক বলা হয়।

প্রশ্ন-১৩. কবে এবং কারা ট্রানজিস্টর তৈরি করেন?

উত্তর: ১৯৪৮ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে উইলিয়াম শকলে, জন বার্ডিন এবং এইচ ব্রিটেন সম্মিলিতভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করেন।

 

প্রশ্ন-১৪. আই.সি (ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) তৈরি করেন কারা?

 

উত্তর: টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্ট- এর জ্যাক কিলবি ও ফেয়ারচাইল্ড- এর রবার্ট নয়েস ১৯৫৮ সালে আইসি তৈরি করেন।

​প্রশ্ন-১৫. কে এবং কবে মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করেন?

উত্তর: ড. টেড হফ ১৯৭১ সালে (প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ইন্টেল- ৪০০৪) মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করেন।

প্রশ্ন-১৬. মাইক্রোকম্পিউটারের জনক কে? কেন তাকে মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয়?

উত্তর: তড়িৎ প্রকৌশলী এইচ এডওয়ার্ড রবার্টসকে মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি ১৯৭৫ সালে অলটেয়ার-৮৮০ নামে প্রথম মাইক্রোকম্পিউটার তৈরি করেন। এজন্য তড়িৎ প্রকৌশলী এইচ এডওয়ার্ড রবার্টসকে মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয়।

প্রশ্ন-১৮. আই.বি.এম (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেসিন) পিসি তৈরি হয় কবে?

উত্তর: ১৯৮১ সালের ১২ আগস্ট থেকে বের হয় পার্সোনাল কম্পিউটার।

​প্রশ্ন-১৯. মাইক্রোসফ্ট কবে এবং কারা প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: ১৯৭৫ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়- এর ছাত্র বিল গেটস ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়াশিংটন স্টেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পল অ্যালেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-এর জন্য বেসিক প্রোগ্রাম লিখেন। পল অ্যালেন বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ম্যাসচুস্টেস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে যোগদান করলেও বিল গেটস সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার জগতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৭৭ সালে মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

 

প্রশ্ন-২০. কবে এবং কারা অ্যাপল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন?

 

উত্তর: ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস ও স্টিফেন উযনিয়াক মিলে অ্যাপল-১ কম্পিউটার তৈরি করেন। এর পরবর্তী বছরই তারা অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

​প্রশ্ন-২১. ইন্টারনেটের জনক কে?

উত্তর: ইন্টারনেটের জনক ভিন্টন জি কার্ফ

​প্রশ্ন-২৩. ই-মেইল (ইলেকট্রনিক মেইল) এর প্রবর্তন করেন কে?

উত্তর: ১৯৭১ সালে রে টমলিনসন ই-মেইল এর প্রবর্তন করেন।

​প্রশ্ন-২৪.জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা কারা?

উত্তর: ১৯৯৪ সালে সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্রতিষ্ঠা করেন।

​প্রশ্ন-২৫. জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেইসবুক- এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেইসবুক- এর প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক জুকারবাগ

​প্রশ্ন-২৬. সফ্টওয়্যার কি ও কত প্রকার?

উত্তর: কোন সমস্যা সমাধানের জন্য ধারাবাহিক নির্দেশাবলির সমষ্টিকে সফ্টওয়্যার বলে।
সফ্টওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার:
* সিস্টেম সফ্টওয়্যার (যেমন: অপারেটিং সিস্টেম) এবং
* অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার (যেমন: মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড)।

​প্রশ্ন-২৭. ফার্মওয়্যার কি ?

উত্তর: কম্পিউটারকে প্রাথমিকভাবে পরিচালনার জন্য রম-এ স্থায়ীভাবে কিছু তথ্য জমা থাকে, এই তথ্যগুলোকে ফার্মওয়্যার বলে।

​প্রশ্ন-২৮. অপারেটিং সিস্টেম কী?

উত্তর: কম্পিউটারের নিজের নিয়ন্ত্রণের জন্য যে প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয় তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।

যেমন- উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং লিনাক্স।

​প্রশ্ন-২৯. মাল্টিমিডিয়া কাকে বলে?

উত্তর: কোন বিষয়কে উপস্থাপনের জন্য টেক্সট, অ্যানিমেশন, অডিও এবং ভিডিও এর সমন্বিত রূপকে মাল্টিমিডিয়া বলে।

প্রশ্ন-৩০. বাংলাদেশে কত সালে এবং কোথায় প্রথম কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়?

উ: ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে।

​প্রশ্ন-৩১. বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা কবে চালু হয়?

উত্তর: বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা চালু হয় ১৯৯৬ সালের ৪ জুন।

​প্রশ্ন-৩২. কম্পিউটার ভাইরাস কী?

উত্তর: VIRUS এর পূর্ণনাম Vital Information Resource Under Seize । কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে এক ধরনের অনিষ্টকারী প্রোগ্রাম। ইহা কম্পিউটারের স্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর কাজে বিঘ্ন ঘটায়। ১৯৮৮ সালে ফ্রাইড কোহেন কম্পিউটার ভাইরাস শনাক্ত করেন।

*************************************************************************************************************

[ ইন্টারনেট সম্পর্কিত কিছু গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর ]

-----------------------------------------------------------------------------------

প্রশ্ন- ১৷ বিশ্বে ইন্টারনেট চালু হয় কখন?          উত্তরঃ- ১৯৬৯ সালে।

প্রশ্ন- ২৷ বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় কখন?    উত্তরঃ- ১৯৯৬ সালে।

প্রশ্ন- ৩৷ ইন্টারনেটের জনক কে?     উত্তরঃ-ভিনটন জি কার্ফ।

প্রশ্ন- ৪৷ WWW এর অর্থ কি?               উত্তরঃ-World Wide Web.

প্রশ্ন- ৫৷ WWW এর জনক কে?           উত্তরঃ– টিম বার্নাস লি ।

প্রশ্ন- ৬৷ ই-মেইল এর জনক কে?           উত্তরঃ-রে টমলি সন।

প্রশ্ন- ৭৷ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক কে?        উত্তরঃ-এলান এমটাজ।

প্রশ্ন- ৮৷ Internet Corporation For Assiged Names And Number– ICANN এর প্রতিষ্টা কবে?

উত্তরঃ– ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ সালে(সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়)

প্রশ্ন- ৯৷ ইন্টারনেট জগতের প্রথম ডোমেইনের নাম কি?           উত্তরঃ- ডট কম।
প্রশ্ন- ১০৷ কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্টান সিম্বোলিকস ইন্টারনেট জগতের প্রথম ডোমেইন ডট কম রেজিস্ট্রেশন করে কবে?

উত্তরঃ- ১৫ মার্চ ১৯৮৫ সালে। 

প্রশ্ন- ১১৷ ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী শীর্ষদেশ কোনটি ?          উত্তরঃ- প্রথম-চীন,দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন- ১২৷ বহু জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার(Web Browser) কি কি?

উত্তরঃ-Opera, Mozilla,Internet Explorer, Rock Melt,Google Chrome.

প্রশ্ন- ১৩৷ বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন Google এর প্রতিষ্টাতা কে?           উত্তরঃ-সার্জে এম বেরিন ও লেরি পেজ।

প্রশ্ন- ১৪৷ জনপ্রিয় সামাজিক নেটওর্য়াকিং সাইট কি কি?        উত্তরঃ-Twitter, Facebook, Diaspora,MySpace,Workout.
প্রশ্ন- ১৫৷ জনপ্রিয় সামাজিক নেটওর্য়াকিং সাইট টুইটারের কবে প্রতিষ্টিত হয় ?      
উত্তরঃ-২০০৬ সালে।
প্রশ্ন- ১৬৷ টুইটারের প্রতিষ্টাতা কে?             
উত্তরঃ-জ্যাক উর্সে ,ইভান উইলিয়াম, বিজ স্টোর্ন ।
প্রশ্ন- ১৭৷ ফেসবুকের প্রতিষ্টাতা কে?       
উত্তরঃ-মার্ক জুকারবার্গ, ক্রিস হেগস,ডাসটিন মোক্রোভিজ,এডুয়ার্জে সাভেরিনা
প্রশ্ন- ১৮৷ জনপ্রিয় সামাজিক নেটওর্য়াকিং সাইট ফেসবুকের কবে প্রতিষ্টিত হয়?       
উত্তরঃ-২০০৪ সালে।
প্রশ্ন- ১৯৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত চিকিৎসা পদ্ধিতিকে কি বলে?         
উত্তরঃ– টেলি মেডিসিন।
প্রশ্ন- ২০৷ উইকিপিডিয়া কি?                         
উত্তরঃ-অনলাইনভিত্তিক ফ্রি বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন- ২১৷ উইকিপিডিয়া কে প্রতিষ্টা কে?       
উত্তরঃ– জিমি ওয়েলস(যুক্তরাষ্ট)
প্রশ্ন- ২২৷ উইকিপিডিয়া কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?  
উত্তরঃ- ২০০১ সালে ।
প্রশ্ন- ২৩৷ উইকিপিডিয়া ফাউন্ডেশন কি?        
উত্তরঃ-অনলাইনভিত্তিক বিশ্বকোশ উইকিপিডিয়ার মালিক প্রতিষ্টান
প্রশ্ন- ২৪৷ উইকিলিকস (Wikileaks) কি?       
উত্তরঃ-সুইডেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ।
প্রশ্ন- ২৫৷ উইকিলিকস (Wikileaks) এর কাজ কি?

উত্তরঃ– বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ন এমন একটি গোপন সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করা ।

প্রশ্ন- ২৬৷ উইকিলিকস(Wikileaks) কে প্রতিষ্টা করেন?    উত্তরঃজুলিয়ান আসেঞ্জ (অস্ট্রেলিয়া)

প্রশ্ন- ২৭৷ বিশ্বে প্রথম ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিংয়ের নাম কি?

উত্তরঃ– ARPANET(Advanced Research Projects Agency Network)

প্রশ্ন- ২৮৷ ফ্লিকার কি?            উত্তরঃ-ছবি শেয়ারিং সাইট Flickr.
প্রশ্ন- ২৯৷ ইউটউব কি?        
উত্তরঃ– ভিডিও শেয়ারিং সাইট YouTube.
প্রশ্ন- ৩০৷ YouTube এর প্রতিষ্টাতা কে?        
উত্তরঃ-স্টিভ চ্যান, জাভেদ করিম ।
প্রশ্ন- ৩১৷ স্প্যাম কি?         
উত্তরঃ-অনাকাঙ্কিত ই-মেইল

​​​প্রশ্ন-৩২. ইন্টারনেট কী?

উত্তরঃ: দুই বা ততোধিক ভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড-এর নেটওয়ার্ককে মধ্যবর্তী সিস্টেম (যেমন: গেটওয়ে, রাউটার)-এর মাধ্যমে আন্ত-সংর্যুক্ত করে যে মিশ্র প্রকৃতির নেটওয়ার্কের ডিজাইন করা হয়, তাকে ইন্টারনেট বলে।

প্রশ্নঃ ৩৩. ইন্টারনেটের জনক কে ?     উত্তরঃ ভিনটন জি কার্ফ ।

​প্রশ্নঃ ৩৪. WWW এর অর্থ কি?     উত্তরঃ World Wide Web.

​প্রশ্নঃ ৩৫. WWW এর জনক কে ?    উত্তরঃ টিম বার্নাস লি ।

​প্রশ্নঃ ৩৬. ই-মেইল এর জনক কে?    উত্তরঃ রে টমলি সন।

​প্রশ্নঃ ৩৭. ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনেরজনক কে?    উত্তরঃ এলান এমটাজ ।

​প্রশ্ন-৩৮ ই-মেইল কী?

উত্তর: ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ ই-মেইল। ই-মেইল এর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। যেখানে সাধারণ ডাকযোগে চিঠি প্রেরণে কয়েকদিন সময় লাগে; সেখানে ই-মেইল এর সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।

*****

প্রশ্ন: স্ক্যানারের কাজ কি এবং স্ক্যানার কত প্রাকার ও কি কি?

       What is the job of Scanner? How many different types of scanner? Name them.

 

উত্তর : স্ক্যানার হলো কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। এর সাহায্যে যে কোন ধরনের লেখা, ছবি, গ্রাফ ইত্যাদি হুবহু কম্পিউটারে ইনপুট দেয়া যায়। বিশেষ করে গ্রাফিক্যাল ইমেজকে কম্পিউটারে ইনপুট দেয়ার জন্য স্ক্যানারের বিকল্প নাই। বিভিন্ন ব্যান্ডের ও মডেলের, বিভিন্ন গুনগত মান সম্পূর্ণ স্ক্যানার পাওয়া যায়।

নিম্নে স্ক্যানারের চিত্র দেখানো হলো।

                               Flatbed Scanner                       Drum Scanner                     Hand held Scanner

 

স্ক্যানার সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে যেমন :

(১) ফ্লাটবেড স্ক্যানার (Flatbed Scanner)

(২) ড্রাম স্ক্যানার ( Drum Scanner) এবং 

(৩) হ্যান্ড হেল্ড স্ক্যানার (Hand held Scanner).

(১) ফ্লাটবেড স্ক্যানার (Flatbed Scanner) : স্বল্পদামী  বহুল প্রচলিত স্ক্যানার হচ্ছে ফ্লাটবেড স্ক্যানার। আমরা সাধারণত অফিসে ও বাসা বাড়ীতে এই ফ্লাটবেড স্ক্যানার ব্যবহার করে থাকি। এই স্ক্যানারে অনেকটা ফটো কপিয়ারের মতো। এই স্ক্যানার কাচ বা কাচ জাতীয় এক ধরণের সমতল স্বচ্ছ পেস্নট ব্যবহার করা হয়। যে ছবিকে স্ক্যান করতে হবে তা উল্টোভাবে উক্ত পেস্নটের উপর রাখতে হবে। স্ক্যানিং এর সময় স্ক্যানারের অভ্যমত্মরে একটি শক্তি শালি লাইট সোর্স থেকে আলোক রশ্নি এসে উক্ত ছবির উপর পড়ে অতপর আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে চার্জড কাপলড ডিভাইস (CCD) প্রতিত হয়। সিসিডি প্রতিফলিত আলোকরশ্মিকে ডিজিটাল মানে পরিনত করে এবং তা কম্পিউটারে প্রেরণ করে। সফ্টওয়্যার উক্ত ডিজিটাল মাসকে ছবিতে পরিণত করে।

(২) ড্রাম স্ক্যানার ( Drum Scanner) : ড্রাম স্ক্যানারকে শীট-ফেড স্ক্যানার (Sheet-fed-scanner) ও বলা হয়ে থাকে। এটি ব্যয়বহুল এবং পেশাদারী কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে ছবি স্থির থাকে না। ছবিটি একটি স্থির স্ক্যান হেডকে ঘিরে আবর্তিত হয়। আবর্তনকালে রিডার হেড দ্বারা ছবিটি গৃহীত হয়। এর রেজ্যুলেশন সাধারণত ৯৬০০ ´ ৯৬০০ হয়ে থাকে।

(৩)  হ্যান্ড হেল্ড স্ক্যানার (Hand held Scanner) : হ্যান্ড হেল্ড স্ক্যানার (Hand held Scanner) হচ্ছে স্বলমূল্যে হাতে চালিত স্ক্যানার। এর হেডকে হাতের মাধ্যমে মুভ জানানো হয়।

*****

Flatbed Scanner
Drum-Scanner
Hand held Scanner

প্রশ্ন: ভিজুয়্যাল ডিসপ্লে ইউনিট কি? What is VDU.

Visual Display unit এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে VDU; VDU কে প্রচলিত ইনপুট বা আউটপুট উভয় ব্যবস্থা হিসেবেই ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেনীর কম্পিউটারে VDU বেশ প্রচলিত ইনপুট ও আউটপুট ব্যবস্থা। এতে একটি মনিটর আছে যা টিভি এর মত এবং আর একটি কি-বোর্ড থেকে।

*****

Drum Plotter
Flad  bed plotter-2
Flat bed Plotter

প্রশ্ন:  প্রিন্টার কি? বিভিন্ন প্রকার প্রিন্টারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

What is Printer? How many types of printer? Describe about the different types of printer.

প্রিন্টার (Printer): পিন্টার কম্পিউটারের অন্যতম আউটপুট ডিভাইস। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্যসমূহ কম্পিউটারে ইনপুট দেয়ার ফলে সিপিইউতে তা প্রক্রিয়াজাত হয়ে ফলাফল ডিস্কে জমা হয়। তারপর ফলাফল মনিটরে প্রদর্শিত হয়। মনিটরে প্রদর্শিত ফলাফল কাগজে প্রিন্ট করার জন্য প্রিন্টার ব্যবহার করা হয। প্রিন্টারের সাহায্যে প্রিন্টকৃত আউটপুটকে বলে Hard Output। প্রিন্টারের পিছনে দুটি পোর্ট থাকে। এদের একটির সাহাড্যে প্রিন্টার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় এবং অপর পোর্টটির সাহায্যে পিন্টারকে কম্পিউটারের সিপিইউ-এর সাথে সংযোগ দেয়া হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার পাওয়া যায়। যেমন:-

(১) ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার

(২) লেজার প্রিন্টার।

(৩) ইঙ্ক জেট প্রিন্টার এবং

 

  • ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার: ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারে ধীর গতিতে একটি একটি করে অক্ষর প্রিন্ট হয়। এই প্রিন্টারে অনেকগুলো পিন রিবনের উপর আঘাত করে কাগজে অক্ষর প্রিন্ট করে। যে কারনে এই প্রিন্টারে ছাপার মান ভাল হয় না। বাজারে সাধারণঃ ৭, ৯ এবং ২৪ পিনের ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার পাওয়া যায়।

  • লেজার প্রিন্টার : লেজার প্রিন্টার অন্যান্য সব প্রিন্টার অপেক্ষা শব্দ বিহীন গতি সম্পন্ন প্রিন্টার। এই প্রিন্টারে প্রতি মিনিটে ৮, ১২ কিংবা ২০ পেজ প্রিন্ট করা যায়। উন্নত মডেলের লেজার প্রিন্টারে প্রতি মিটিনে আরও বেশী পেজ প্রিন্ট করা যায়। লেজার প্রিন্টারের ছাপার মান DPI অনুযায়ী হয়। DPI হলো Dot Per Inch অর্থ্যাৎ DPI যে প্রিন্টারে যত বেশী সেই প্রিন্টারের ছাপার মান ততো ভাল। বাজারে সাধারণ ৩০০ থেকে ২৪০০ DPI লেজার প্রিন্টার পাওয়া যায়। প্রকাশনা কাজে লেজার প্রিন্টার ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই।

  • ইঙ্ক জেট প্রিন্টার: বড় ডটের মধ্যে ছোট ছোট ডট সম্বলিত প্রিন্টার ইঙ্ক জেট প্রিন্টার। এই প্রিন্টারের ছাপার মান ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার অপেক্ষা ভাল এবং গতি সম্পন্ন।

*****

প্রশ্ন: প্লটার কি? পস্নটার কয় ধরনের ও কি কি?

      What is Plotter?  How many types of plotter.

উত্তর: প্লটার (Plotter) প্রিন্টার মতই একটি আউটপুট ডিভাইস এবং ড্রয়িং যন্ত্র। সাধারণ প্রিন্টারে বড় কোন ছবি বা পোস্টার মুদ্রণ বা প্রিন্ট করা যায় না। প্লটারে প্রিন্ট করা হয় পেন (Pen) এর সাহায্যে। এতে অতি চিকন থেকে মোটা বিভিন্ন ধরনের পেন ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকারের ছবি, পোস্টার, ক্যালেন্ডার, মানচিত্র এবং আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ইত্যাদি প্রিন্ট করা হয়। প্লটার দুই প্রকারের যথা:-

(১) ফ্লাট বেড প্লটার (Flat bed Plotter) এবং

(২) ড্রাম প্লাটার (Drum Plotter).

নিম্নে ২টি মডেলের প্লটারের চিত্র দেখানো হলো

                                                      Drum Plotter                                              Flat bed Plotter                                Flat bed Plotter

*****

Laser Printer
Dot matrix Printer
Ink Jet Printer

প্রশ্ন: ওয়েব সাইট বা ওয়েব পেজ বলতে কি বুঝ?

What is web side & web page?
উত্তর: ওয়েব পেজ আর ওয়েব সাইট এক কথা নয়। যেমন- www.banglaexpress.net একটি ওয়েব সাইট। কিন্ত এই ওয়েব সাইটটি অনেকগুলো ওয়েব পেজের সমন্ময়ে তৈরি হয়েছে। ওয়েব সাইট হল স্বতন্ত্র HTML ডকুমেন্ট। ওয়েব সাইট হল অনেকগুলো ওয়েব পেজের সমাহার।

আর ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটই হল প্রান কেন্দ্র । এখানেই সকল তথ্য জমা থাকে । ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় ফাইল, তথ্য সংগ্রহ এবং আদান প্রদান করতে পারে।তাহলে যা বুজলাম তাহলো ওয়েব সাইট হচ্ছে কোণ এক সাইট এর নাম আর ওয়েব পেজ হোল ঐ সাইট এর ভিতর যে পেজ গুলো আছে সেগুলোকে ওয়েব পেজ বলা হয়। 

****

প্রশ্ন:কম্পিউটার স্মৃতি বা মেমোরি বলতে কি বুঝ?

         What do you mean by memory?

উত্তর: স্মৃতি বা মেমোরি (memory): কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারে যে সকল উপাত্ত বা নির্দেশাবলী ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে ইনপুট করা হয়; সেগুলো জমা রাখার জন্যে কম্পিউটারে যে নির্দিষ্ট অংশ থাকে তাকে স্মৃতি অংশ বলে। স্মৃতি (Memory) অংশের প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সমুহ সঞ্চয় করে রাখা।

 ****

প্রশ্ন: একক, বিট, বাইট, কিলোবাইট, মেগাবাইট ও গিগাবাইট সম্পর্কে ধারণা? অথবা বিট, বাইট এবং শব্দ বলতে কি বুঝ?

         What do you mean by “Bit”, “Byte”, and word?

উত্তর: একক : ব্যক্তিগত জীবনে আমরা অবগত প্রতিটি জিনিসেরই পরিমাপের জন্য একক প্রচলিত আছে। যেমন: বস্ত্রের একক মিটার, তৈলের একক লিটার এবং চাউলের একক কেজি; ঠিক তেমনি কম্পিউটারে একক হিসাবে ধরা হয়েছে বাইট (BYTE)। প্রশ্ন থাকতে পারে কম্পিউটারের আবার পরিমাপের তেমন কি জিনিস আছে? হ্যাঁ কম্পিউটারেরও পরিমাপের জিনিস আছে আর তা হল, স্মৃতির একক ও ডিস্ক স্পেস। কোন কম্পিউটারের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা কত এবং ডিস্কের স্পেস কত তা জানার জন্য একক হিসেবে বিট এবং বাইটকে ধরতে হয়। স্মৃতি ও ডিস্ক স্পেস পরিমাপের একক হিসেবে বিট ও বাইটকে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে মেনে নেয়া হয়। তাই কম্পিউটারের একককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:- 1. বিট (BIT) এবং  2. বাইট (BYTE) ।

বিট (BIT) : কম্পিউটারে এক ক্যারেক্টার বা একটি অক্ষর লিখতে যে পরিমান জায়গা দখল করে সেই জায়গাটুকুকে বলে বিট। যেমন: A টাইপ করলে প্রয়োজন হবে এক বিট পরিমান স্মৃতি বা মেমরী। যদি RAJSHAHI টাইপ করা হয় তাহলে প্রয়োজন হবে ৮ বিট পরিমান স্মৃতি।

কম্পিউটারে স্মৃতি তৈরী হয় সারি সারি সাজানো কোষ বা সেল দিয়ে। প্রতিটি কোষে থাকে এক সারি সুইচ। উক্ত এক একটি সুইচ মানেই এক একটা বিট।

​বাইট (BYTE): আটটি বিট এর সমম্বয়ে একটি বাইট তৈরী হয়। স্মৃতির প্রত্যেকটি কোষে থাকে আটটি বিট। অর্থাৎ একটি কোষে থাকে এক বাইট পরিমান জায়গা। যেমন: আট ক্যারেক্টার বিশিষ্ট একটি শব্দের জন্য প্রয়োজন হবে এক বাইট পরিমান স্মৃতি।

কম্পিউটার শব্দ (Computer Word) : আমরা জানি যে, শব্দ হলো কতকগুলো বর্ণের সমাহার, যার একটি নির্দিষ্ট অর্থ আছে। কিন্তু কম্পিউটার শব্দ বলতে বিটকে বুঝায়। বিট বা শব্দ বলতে বাইনারি ডিজিট বুঝায় যার মান ০ বা ১। প্রতিটি কম্পিউটার শব্দ বা বাইটকে স্মৃতি অংশে রাখার জন্য একটি করে স্মৃতিস্থান ব্যবহার করা হয়। স্মৃতিস্থানগুলোকে নির্দিষ্ট করার জন্য পৃথক পৃথক ঠিকানা নির্ণায়ক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়; এই সংখ্যাকে স্মৃতিস্থানের ঠিকানা বলা হয়।

১. ডেটা শব্দ (Data word) এবং ২. নির্দেশক শব্দ (Instruction word)

যে শব্দে ডেটা সঞ্চিত থাকে তাকে বলে ডেটা শব্দ (Data word), আর যাতে নির্দেশ সঞ্চিত থাকে তাকে নির্দেশ শব্দ (Instruction word) বলে। কম্পিউটার সব শব্দই থাকে ০ বা ১ বিট হিসাবে। ৮ বিট বিশিষ্ট শব্দকে Byte বলা হয়। কোন শব্দে যতগুলো বিট থাকে সেই সংখ্যাকে বলে শব্দ দৈর্ঘ্য (Word length) সাধারণত শব্দ দৈর্ঘ্য ৮ এর গুণিতক হয়ে থাকে। যেমন ৮ থেকে ৬৪ বিটের শব্দ।

বাইট পরিমাপের সূত্র

8 Bit                      =   1Byte

1024 Byte            =   1024 Kilo Byte.

1024 Kilo Byte    =  1024 Mega Byte

1024 Mega Byte  =  1024 Gega Byte.

Abbreviation:-                     Bigger Unites:-

KB = Kilo Byte                     1 KB = 1024 Byte.

MB = Mega Byte                 1 MB = 1024 KB = 10,48,476 Byte

GB = Gega Byte                  1 GB = 1024 MB = 10,48,476 KB = 107,37,41824 Byte

 

****

প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ বা সিপিইউ কি?

     What is Central Processing Unit or CPU?

উত্তর: কম্পিউটারের ব্রেন বা মস্তিষ্ককে প্রসেসর বলা হয়। প্রসেসরের গতি মেগা হার্জ এবং গিগা হার্জ-এ প্রকাশ করা হয় এবং এই চিপটি কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যকলাপ সম্পূর্ণ করে এবং এটির নাম অনুসারেই কম্পিউটারের নামকরণ করা হয়ে থাকে।

আজ থেকে প্রায় ২৯ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনিয়া রাজ্যে নীরবে নিভৃতে এক প্রযুক্তি বিপ্লব সংঘটিত হচ্ছিল। আর এ প্রযুক্তির উদ্ভাবক হিসেবে যে প্রতিষ্ঠানের নাম আজও চীরস্মরণীয় হয়ে আছে তার নাম ‘‘ইন্টেল’’। ১৯৭১ সালে ২৩০০ হাজার ট্রানজিষ্টরের সমম্বয়ে ৪৫টি ইন্সট্রাকশন সম্বলিত ১০৮ কি. হা. গতি (ক্লক স্পীড) সম্পূর্ণ এ প্রসেসরটি তৈরী করা হয়েছিল এবং এর নাম দেয়া হয়েছিল 4004, এটি ছিল বিশ্বের প্রথম মাইক্রো প্রসেসর। যার প্রকৌশলীরা ছিলেন আমেরীকার টেড হফ, ষ্ট্যান মেজর, ফেডারিকো ফ্যাগিন এবং জাপানের মাসতোসি শীম।
সিপিইউ-এর গঠন

     সিপি্ইউ-এর তিনটি অংশ। যথাঃ-

    *  Internal Memory অভ্যমত্মরীণ স্মৃতি

    * Arithmetic Logic Unit (গাণিতিক যুক্তি অংশ)

    * Control Unit (নিয়ন্ত্রণ অংশ)

চিত্রঃ সিপিইউ-এর সংগঠন

 

এই তিনটি অংশের সমম্বিত অবস্থাকে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ (Central Processing Unit) অথবা- মাইক্রোপ্রসেসর হিসেবে অভিহিত করা হয়। কম্পিউটারের ইনপুট যন্ত্রাংশের মাধ্যমে প্রাপ্ততথ্যসমূহ কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশে প্রক্রিয়াজাত হয়ে আউটপুট অংশের সাহায্যে ফলাফল প্রদান করে থাকে।

বিভিন্ন কোম্পানী এই প্রসেসর তৈরী করে থাকে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কোম্পানির নাম নিন্মে উল্লেখ করা হলো:

Main Processor Company:

* INTEL

* AMD (Advance Micro Device)

* CIRIX – IBM 

বর্তমানে বাজারে দুই ধরনের প্রসেসর পাওয়া যায় যেমন: Pin Processor এবং Pin less Processor তবে বর্তমানে Pin less Processor-এর ব্যবহার বেশী দেখা যায়। নিম্নে দুই ধরনের প্রসেসরের চিত্র  দেখানো হলো:

 

 

Pin Processor                                                      Pin less Processor

 

 * MHz কি?

Computer এর Clock Speed Megahertz এ পরিমাপ করা হয়। Hertz, Frequency এর একক। এক Megahertz প্রতি সেকেন্ড এক মিলিয়ন Instruction এর সমান। বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে Computer এর Clock Speed নির্ধারণ করা হয়। Computer এর Clock Speed নির্ধারণের পদ্ধতির মধ্যে MIPS একটি পদ্ধতি। MIPS অর্থ Million Instructions Per Second.

****

cpu
পিন প্রসেসন
CPU

প্রশ্ন: স্টোরেজ (What is Storage Device):

উত্তর: ডাটা স্টোর ও ব্যাকআপ করার মিডিয়াই হচ্ছে স্টোরেজ ও ব্যাকআপ মিডিয়া। কম্পিউটারে ডাটা স্থায়িভাবে স্টোর বা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য স্টোরেজ মিডিয়া হিসেবে হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয়। তবে মূল্যবান ডাটা সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ব্যাকআপ মিডিয়া হিসেবে হার্ডডিস্ক, সিডি-রম, টেপ, এমও ড্রাইভ, জিপ ড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। পূর্বে ফ্লপি ডিস্কেও ডাটা ব্যাকআপ রাখা হতো। এখন ফ্লপি ডিস্ক শুধুমাত্র এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছোট ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে বর্তমানে ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার নাই বললেই চলে। আর বর্তমানে স্থানান্তরের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে ফ্লাস ডিস্ক/পেন ড্রাইভ। তবে বিশাল আয়তনের ডাটা ব্যাকআপ রাখার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিতে টেপ ড্রাইভ, ড্যাট ড্রাইভ ও ম্যাগনেটো অপটিক্যাল ড্রাইভ-এর প্রচলন সবচেয়ে বেশি।

প্রশ্ন: হার্ড ডিক্স কি? What is Hard-disk (HDD)?

উত্তর: তথ্য সংরক্ষনের জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হার্ডডিস্ক। এটি স্থায়ী স্টোরেজ মিডিয়া হিসাবে কাজ করে। অপেক্ষাকৃতত অধিক ক্ষমতা সম্পূর্ণ শক্ত ম্যাগনেটিক ডিস্ককে হার্ড ডিক্স বলা হয়। মেগাবাইট থেকে শুরু করে গিগাবাইট পর্যন্ত তর্থের বিশাল ভান্ডার এই হার্ডডিস্বে জমা রাখা যায়। এই ডিস্ক আসলে হচ্ছে ম্যাগনেটিক ম্যাটেরিয়াল দ্বারা তৈরী একটি গোলাকার চাকতি বিশেষ। হার্ডডিক্স ফ্লপি ডিস্ক অপেক্ষা অধিক ক্ষমতা সম্পূর্ণ এবং টেকসই হয়। হার্ড ডিক্সে অনেক গুলি শক্ত ডিক্স একটি দন্ডে স্থায়ীভাবে পরপর সাজানো থাকে। প্রতিটি ডিক্সের উপর ও নিচে রিড/রাইট হেড থাকে এবং এরা ডিক্সের যে কোন ট্র্যাকে কাজ করতে পারে। পূর্বের তৈরীকৃত হাডডিক্সগুলির RPM (Rotation per minute) ছিল প্রতি মিনিটে ১০০ হতে ৩৬০০ বার। কিন্তু বর্তমানের  তৈরীকৃত হাডডিক্সগুলির ম্যাগনেটি ডিক্স এর RPM প্রতি মিনিটে ৫২০০ হতে ৭২০০ বার। জোরে ঘুর্ণায়নের সময় রিড বা রাইট হেড গুলি ডিক্সের উপর ভেসে থাকে ফলে ঘর্ণায়নের জন্যে হেডের কোন ক্ষতি হয় না। অত্যন্ত দামি বলে এ ধরনের হার্ডডিক্সকে ধূলাবালি থেকে মুক্ত রাখার জন্য কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারে সুরক্ষিত অবস্থায় স্থাপন করা হয়। বর্তমানে বাজারে কয়েক ধরনের হার্ডডিস্ক পাওয়া যায় যেমন: ATA/PATA Harddisk, SATA Harddisk এবং USB Harddisk। চিত্র সহ হার্ডডিস্কের বিভিন্ন অংশ নিম্নে দেখানো হলো:-

 

* ট্র্যাক এবং সেক্টর (Track & Sector):

ফ্লপি ডিস্কের মতো হার্ড ডিস্ক সারফেসকেও বহু এককেন্দ্রীয় বৃত্তে

বিভক্ত করা হয়। এক একটি বৃত্ত বা সার্কেলকে ট্র্যাক বলা হয়।

আবার প্রতিটি ট্র্যাককে অনেকগুলো ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি

ভাগকে সেক্টর বলা হয়। হার্ড ডিস্ক সারফেসে ৩০০০ বা তার অধিক

ট্র্যাক এবং ১৭ বা তার অধিক সেক্টর থাকে।

* সিলিন্ডার (Cylinder):

হার্ড ডিস্ক সিস্টেমে একাধিক প্লেট ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি প্লেট-এর

সারফেস ৩০০০ বা তার অধিক ট্র্যাক-এ বিভক্ত থাকে। একই

ডায়ামিটারে অবস্থিত দুটো প্লেটের ট্র্যাকের সেটকে সিলিন্ডার বলে।

****

Hard-Disk

প্রশ্ন: সিডি রম/ড্রাইভ (CD-ROM/Druve) কি?

উত্তর: সিডি রম/ড্রাইভ (CD-ROM/Druve): সিডি-রম এর পূর্ণনাম কমপ্যাক্ট ডিস্ক রিড অনলি মেমেরি (Compact Disk Read Only Memory)। সিডি-রম একটি অপক্যাল মাধ্যম। যে যন্ত্রের সাহায্যে সিডি চালানো হয় তাকে সিডিরম ড্রাইভ বলে সিডিরম ড্রাইভ লেজার বীম ব্যবহার করে সিডিতে সংরক্ষিত তথ্য Read করে। ব্যবহৃত লেজার বীম পিট ও ল্যান্ডে পড়লে বাইনারি সংখ্যা ০ এবং ১ প্রান্তির সংবাদ পাঠায়। ফলে সকল তথ্য Read করতে পারে। লেজার বীমের সাহায্যে ছিদ্র করে তথ্য সংরক্ষিত থাকে। সিডিরম ড্রাইভ ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল উভয় ধরনের হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন গতি সম্পন্ন সিডিরম ড্রাইভ পাওয়া যায়।

 

প্রশ্ন : সিডি (CD) কি?

উত্তর: সিডি (CD) : CD অর্থ Compact Disk. সিডি কম্পিউটারের একটি হার্ডওয়্যার উপাদান। এর ব্যবহার হার্ডডিস্ক, ফ্লপিডিস্ক বা ম্যাগনেটিক ডিস্কের মত। তবে ফ্লাপি ডিস্ক অপেক্ষা অনেকটা মজবুত ও টিকসই। একটি সিডির ব্যাস সাধারণত ৪.৭৫ইঞ্চি এবং এতে তথ্য ধারণ ক্ষমতা ৬৫০ থেকে ৭০০ মেগাবাইট এবং উর্দ্ধে ১ গিগাবাইট (জিবি) পর্যন্ত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন : ডিভিডি কি?

উত্তর: ডিভিডি (DVD): ১৯৯৬ সালের শেষভাগ থেকে বাজারে এসেছে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের সিডি-তার নাম দেয়া হয়েছে ডিভিতি বা ডিজিটাল ভার্সাটাইল ডিস্ক (Digital Versatile Dise)। ১ জিবি সিডি গুলো সাধারণত ডিভিডি হয়ে থাকে বা এগুলোকে ডিভিডি বলা হয়। সিডিতে যে কোন ধরনের ডেটা, অডিও ভিডিও গান গেইম ইত্যাদি রাইট (কপি) করে প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। সিডি দু’ধরনের হয়ে থাকে। যেমন শুধুমাত্র Writeable সিডি; যাতে কেবলমাত্র তথ্য রাইট করা যায় এবং অন্যটি হলো Rewriteable সিডি; যাতে পূর্বের তথ্য মুছে আবার নতুন করে তথ্য রাইট করা যায়। সিডি বা ডিভিডিতে হার্ডডিস্ক, পেন ডাইভ বা ফ্লপি ডিস্কের মত সরাসরি তথ্য রাইট বা সেভ করা যায় না, এ জন্য সিডি/ডিভিডি রাইটারের সাহায্যে করতে হয়। 

===================================================================

Primary and secondary memory: RAM, ROM & PROM

 

প্রশ্ন : কম্পিউটার স্মৃতি বা মেমোরি বলতে কি বুঝ?

কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারে যে সকল উপাত্ত বা নির্দেশাবলী ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে ইনপুট করা হয়; সেগুলো জমা রাখার জন্যে কম্পিউটারে যে নির্দিষ্ট অংশ থাকে তাকে স্মৃতি অংশ বলে। স্মৃতি (Memory) অংশের প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সমুহ সঞ্চয় করে রাখা।

 

প্রশ্ন: মেমোরি কত প্রকার ও কি কি?

কম্পিউটারের স্মৃতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

(ক) প্রধান স্মৃতি বা মুখ্য স্মৃতি (Primary or main memory)

(খ) সহায়ক বা গৌণ স্মৃতি (Auxiliary or Secondary Memory)

 (ক) প্রধান স্মৃতি বা মুখ্য স্মৃতি (Primary or main memory): কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা সিপিইউ এর সাথে যে মেমরি বা স্মৃতির সরাসরি সংযোগ থাকে তাকে প্রধান স্মৃতি বা মুখ্য স্মৃতি বলা হয়। প্রধান স্মৃতি কম্পিউটারের চলমান প্রোগ্রাম, ডেটা, নির্দেশ প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। র‌্যাম ও রম প্রধান স্মৃতি বা মুখ্য স্মৃতি উদাহরনস্বরূপ।

 (খ) সহায়ক বা গৌণ স্মৃতি (Auxiliary or Secondary Memory): কম্পিউটারে গৃহীত প্রোগ্রাম বা উপাত্ত তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য যেসব স্মৃতি ব্যবহৃত হয় তাদেরকে সহায়ক স্মৃতি বা সেকেন্ডারি মেমরি বলা হয়। ব্যবহারকারীর তথ্য ও প্রোগ্রাম দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখার জন্য এসব স্মৃতি ব্যবহৃত হয়। হার্ডডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক, সিডি বা কমপ্যাক্ট ডিস্ক, ম্যগনেটিক পেট, পেন ড্রাইভ ইত্যাদি সহায়ক বা গৌণ স্মৃতির উদাহরণ।

প্রশ্ন: র‌্যাম  (RAM)  কি?

র‌্যানডম অ্যাকসেস মেমোরিকে (Random Access Memory) সংক্ষেপে র‌্যাম বলা হয়। র‌্যামে সংরক্ষিত তথ্য সমূহ পড়া যায়, পরিবর্তন করা যায় আবার নতুন তথ্য লেখাও যায়। কম্পিউটার যতক্ষণ সচল থাকে (অর্থাৎ অন থাকে) ততক্ষণ পর্যন্ত RAM-এ জমাকৃত তথ্য সমূহ নিয়ে কাজ করা যায়। কম্পিউটার বন্ধ করলে RAM-এর তথ্য সমূহ মুছে যায়। কাজের সুবিধার্থে কম্পিউটারে এর ধারণ ক্ষমতা বেশী রাখা হয়। একটি র‌্যাম চিপের ধারণ ক্ষমতা ১ মেগাবাইট থেকে কয়েক গিগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন: 32, 64, 128, 256 এবং 512 মেগাবাইট। বর্তমানে বাজারে 1 গিগাবাইট হতে 3, 4 এবং 5 গিগাবাইট পর্যন্ত  র‌্যাম পাওয়া যায়। র‌্যাম আবার কয়েক প্রকারের থাকে যেমন:- DDR-DIMM RAM  (184 pin, 1 Notch-নচ্ ), SIMM RAM (72 pin), SDR RAM (168 pin, 2 Notch-নচ্ )। নিম্নে একটি ২জিবি র‌্যামের চিত্র দেখানো হলো।

 

 

 

​প্রশ্ন: রম (ROM) কি?

রম (ROM Memory): রিড অনলি মেমোরিকে (Read Only Memory) সংক্ষেপে রম বলা হয়। রম-এ সংরক্ষিত তথ্যসমুহ শুধূ পড়া যায় কিন্তু কোন কিছু লেখা যায় না অথবা লিখিত কোন কিছু পরিবর্তন করা যায় না। কম্পিউটার তৈরীর সময় ROM- এ যে তথ্য দেয়া হয় তা পরবর্তীতে মুছা যায় না। স্থায়ী ভাবে তথ্য সমূহ সংরক্ষিত থাকে। পাওয়ার সুইচ অন করার পর কম্পিউটারকে সক্রিয় ও উপযোগী করে তোলার জন্য প্রদানকৃত নির্দেশসমূহ যা BIOS নামে পরিচিত তা এই রম মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকে। রম আবার কয়েক ধরণের হতে পারে। যেমন:- PROM (Programmable Read Only Memory), EPROM (Erasable Programmable Read Only Memory), EEPROM (Electrical Erasable Programmable Read Only Memory) ইত্যাদি।

প্রশ্ন: রম ও র‌্যাম-এর মধ্যকার পার্থক্য কর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন: পিরম (PROM):

PROM (Programmable Read Only Memory) ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছ করলেই প্রোগ্রাম করে এ ধরনের আইসি (IC) নিজের মতো করে তৈরী করে নিতে পারে। পিরম এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো-

  • প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজেই পিরম-এ ডেটা সংরক্ষণ করতে পারেন।

  • পিরম-কে একবার প্রোগ্রাম করা হলে পুনরায় প্রোগ্রাম করার কোন সুযোগ থাকে না।

****

প্রশ্ন: কম্পিউটার পেরিফেরালস্ বলতে কি বুঝায়?

যে সমস্ত ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস সিপিইউ এর নিয়ন্ত্রণে থেকে কমিউনিকেশন চ্যানেল বরাবর কাজ করে তাদেরকে কম্পিউটার পেরিফেরালস্ বলে। পেরিফেরারস্ শব্দের অর্থ সীমান্তবর্তী। পেরিফেরালস্ ডিভাইস সিপিইউ-এর সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং সংরক্ষণ করে থাকে। যেমন : হার্ড ডিস্ক, মনিটর  এবং মাউস।

​কম্পিউটার পেরিফেরালস্ এর শ্রেণী বিভাগ

•কার্যাবলির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার পেরিফেরালস্ কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ ১) ইনপুট ডিভাইস, (২) আউটপুট ডিভাইস এবং (৩) স্টোরেজ ডিভাইস।

***

র‌্যাম
RAM & ROM

প্রশ্ন: কম্পিউটার বাস কি? বাস কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : কম্পিউটারের অভ্যন্তীণ এক অংশের তথ্য ও নির্দেশ অন্য অংশে স্থানান্তরের জন্য সংযোজিত মাদারবোর্ডের নিয়ন্ত্রক রেখাসমূহ ও আলাদা তারগুচ্ছকে বাস বলা হয়। সিপিইউ, মাদারবোর্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে নিজস্ব বাস বিদ্যমান থাকে। বাস সাধারণত দুই প্রকারের যথা :-

* সিস্টেম বাস : যে সকল বাসের মাইক্রোপ্রসেসরের সাথে সরাসরি সংযোগ থাকে তাদেরকে সিস্টেম বাস বলা হয়।

* লোকাল বাস : সিস্টেম বাসের কাজের চাপ কমানোর জন্য এবং উপাত্ত আদান-প্রদানের জন্য সিস্টেমবাসের সঙ্গে যে বাস সংযুক্ত থাকে তাদেরকে লোকাল বাস বলা হয়। যেমন: পিসিআই বাস, ইউএসবি বাস ইত্যাদি।

বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য বাসগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত নিম্নে এ সস্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:-

(ক) ডেটা বাস : ডেটা বাস একধরনের দ্বি-মুখী সিস্টেম বাস। ইহার কাজ হচ্ছে মাদারবোর্ডের বিভিন্ন চিপের মধ্যে ডেটা আদান-প্রাদান করা। যেমন: রম হতে র‌্যামে উপাত্ত নিয়ে আসা।

(খ) এ্যাড্রেস বাস : এ্যাড্রেস বাস হচ্ছে এক ধরনের একমুখী সিস্টেম বাস। ইহার কাজ হচ্ছে ডেটার অবস্থান নির্ণয় করা।

(গ) কন্ট্রোল বাস : কন্ট্রোল বাস হচ্ছে এক প্রাকারের দ্বি-মুখী সিস্টেম বাস। কন্ট্রোল বাস মাইক্রোপ্রসেসর থেকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রন সংকেত বা নির্দেশ বহনপূর্বক সংশ্লিষ্ট অংশগুলোতে প্রেরণ করে থাকে।

****

প্রশ্ন: অপারেটিং সিস্টেম কি?

ইংরেজী Operate শব্দটির আভিধানিক অর্থ পরিচালনা করা এবং System শব্দটির আভিধানিক অর্থ পদ্ধতি। সেহেতেু Operating System অর্থ পরিচারনা পদ্ধতি বা পরিচালনার পদ্ধতি। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম অর্থ হচ্ছে কম্পিউটার পরিচারনার পদ্ধতি।

প্রশ্ন:অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?

কম্পিউটারের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালীর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম মূলত কতকগুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারে ব্যবহারকারীর কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই কম্পিউটারকে অনবরত চালু রাখতে সহায়তা করে।

 

প্রশ্ন:ব্যবহারিক দিক থেকে অপারেটিং সিস্টেম কয়ভাগে ভাগ করা যায়?

কম্পিউটার পরিচালনার জন্য উৎপত্তি হয়েছে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের। যেমন: MS-DOS, Unix, Linux ইত্যাদি। কম্পিউটার উৎপত্তি সময়ে MS-DOS (Microsoft Disk Operating System) অপারেটিং সিস্টেম বহুলভাবে প্রচলিত ছিল। কালক্রমে তদস্থলে উইন্ডোজ এসেছে। তবে ডসের ব্যবহার এখনও রয়েছে। ব্যবহারিক দিকে থেকে অপারেটিং সিস্টেমকে নিম্নোক্ত দুইভাবে বিভক্ত করা যায়। যেমন:-

     1. Single User Operating System

     2. Multi User Operating System

  • Single User Operating System: একক ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেমকে Single User Operating System বলে। যেমন:- MS-DOS, Windows 3.1, Windows 3.11, Windows 95, Windows 98 ইত্যাদি সিংগর ইউজার অপারেটিং সিস্টেম এককভাবে পরিচালিত হয়। সিংগল ইউজার অপারেটিং সিস্টেমে একই সময়ে মাত্র একজন ইউজার কাজ করার সুযোগ পায়।

  • Multi User Operating System: একই সময়ে একাধিক ইউজার কর্তৃক ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেমকে Multi User Operating System বলে। যেমন:- Windows 2000, Windows XP, Unix, Linux ইত্যাদি। মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম একাধিক ইউজার দ্বারা পরিচালিত হয়। মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমে একই সময়ে একাধিক ইউজার কাজ করার সুযোগ পায়। এ জন্য সার্ভার সাপোর্টেড অপারেটিং সিস্টেমকে একটি সার্ভারের অধীনে রাখতে হয়। সার্ভারে সংরক্ষিত অপারেটিং সিস্টেমটি একাধিক কম্পিউটারে একই সময়ে একাধিক ইউজার কর্তৃক ব্যবহারের সুযোগ থাকে।

 

প্রশ্ন:গঠন ও কার্যবলীর উপর ভিত্তি করে অপরেটিং সিস্টেমকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

গঠন এবং কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে অপারেটিং সিস্টেমসকে ছয় শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন:-

১। ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Batch Processing Operating System).

২। মাল্টি-প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম (Multi-Programming Operating System).

৩। মাল্টি-প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Multi-Processing Operating System).

৪। টাইম-শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম (Time-Sharing Operating System).

৫। রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (Real-Time Operating System).

৬। ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম (Distributed Operating System).

 (১) ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Batch Processing Operating System) : যে অপারেটিং সিস্টেমে প্রোগ্রামসমূহ পর্যায়ক্রমে একটির পর আরেকটি পরিচালিত হয় তাকে ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম বলে। ব্যাচ প্রসেসিংঅপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ঠ্য হলঃ এটি নির্দিষ্ট সময়ে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারে। এখানে একই সাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালনার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে একটি প্রোগ্রামের পরিচালনা শুরু করা হলে সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য প্রোগ্রাম তার কার্যক্রম শুরু করতে পারে না।

 (২) মাল্টি-প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম (Multi-Programming Operating System): এরূপ অপারেটিং সিস্টেমে একইসাথে একাধিক প্রোগ্রাম মেমরির নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমান্তরালভাবে পরিচালিত হতে পারে। মনিটর নামে একটি প্রোগ্রাম এসকল প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা মেমরিতে সব সময় একটি নির্দিষ্ট স্থান দখল করে থাকে। মনিটর প্রোগ্রামে কাজ হল কোন প্রোগ্রাম কখন কোন ডিভাইস ব্যবহার করবে তা তত্ত্বাবধায়ন করা। এরূপ সিস্টেমের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রসেসর এবং ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

 (৩) মাল্টি-প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Multi-Processing Operating System): মাল্টি-প্রেসেসিং অপারেটিং সিস্টেম বলতে দুই বা ততোধিক নির্দেশনা সমান্তরালভাবে দুই বা ততোধিক কেন্দ্রীয় প্রসেসর বা সিপিইউ কর্তৃক পরিচালিত হওয়া বুঝায়। এসব সিপিইউ একই সময় কোন প্রোগ্রামের আলাদা আলাদা নির্দেশ পালন করে কিংবা সম্পূর্ণভাবে আলাদা আলাদা নির্বাহ করতে পারে।

 (৪) টাইম-শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম (Time-Sharing Operating System): এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে প্রসেসিং সময়কে কতগুলো ক্ষুদ্র অংশে বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা ব্যবারকারীর মধ্যে বন্টন করা হয়। সাধারণত নেটওয়ার্ক কম্পিউটারসমূহে এরূপ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। টাইম শেয়ারিং পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ব্যবহারকারী নিজ নিজ টার্মিনালে বসে তাদের স্ব-স্ব প্রোগ্রাম একটি কম্পিউটারের সিপিইউ’তে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারেন। সিপিইউ একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রত্যেক ব্যবহারকারীর প্রোগ্রাম প্রসেস করে। শেষ ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামটি প্রসেস করার পর নিয়ন্ত্রণ আবার প্রথম ব্যবহারকারীর প্রোগ্রাম প্রসেস করার জন্য ফিরে আসে এবং এ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সব প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে।

 (৫) রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (Real-Time Operating System): নির্বাহের অনুরোধ পাওয়ামাত্র প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধিতিতে অন-লাইন টার্মিনাল হতে সরাসরি ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে উপাত্ত পাঠানো হয়। দূরবর্তী অনেক সংযোগ টার্মিনাল সরাসরি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকলে রিয়েল টাইম পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। সংযোগ টার্মিনাল হতে অনুরোধ আসামাত্রই প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াকরণের সুবিধা থাকা দরকার। খাদ্য, গ্যাস, প্রেট্রোলিয়াম প্রকিয়াকরণ শিল্পে রিয়েল টাইম পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

(৬) ডিষ্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম (Distributed Operating System): ডিষ্ট্রিবিউটেড অপারটিং সিস্টেমের সাহায্যে দূরবর্তী অবস্থান থেকে একাধিক কম্পিউটার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধায়ন করা যায়। এরূপ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে একাধিক সিস্টেমের জন্য একটি অভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।

প্রশ্ন:অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব : Importance of Operating system:

অন্যান্য সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রামের ন্যায় অপারেটিং সিস্টেমও এক ধরনের সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম। কম্পিউটার পরিচালনার জন্য অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়্যারের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কম্পিউটারের সকল ডিভাইসকে কার্যপোযোগী করে অপারেটিং সিস্টেম। একটি কম্পিউটারে সকল ডিভাইসের সংযোগ ও সমম্বয় সাধনের পর উক্ত কম্পিউটারকে কার্যপোযোগী করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন হয় অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়্যার। অপারেটিং সিস্টেম কেবলমাত্র একটি কম্পিউটারকে কার্যপোযোগী করে না বরং কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। সংক্ষেপে বলা যায় বিদ্যুৎ ব্যতীত যেমন কম্পিউটার চলে না তেমনি অপারেটিং সিস্টেম ব্যতীত কম্পিউটার পরিচালনা করা যায় না।

প্রশ্ন: What is DOS?

DOS শব্দটির Abbreviation হচ্ছে Disk Operating System. অর্থাৎ কিভাবে ডিস্ক ব্যবহার করতে হয় উহার কৌশল সম্বলিত সিস্টেমকে ডস বলে। যা কতিপয় প্রোগ্রামের সমাহার এবং ব্যবহারকারীও কম্পিউটারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। ডস ব্যতিত কম্পিউটার পরিচালনা করার কথা চিন্তা করা যায়না বললেই চলে। ডসের প্রথম প্রকাশ হয় 1981 সালে। প্রথম ভার্সন ছিল 1.00 এবং সর্বশেষ ভার্সন হলো 6.22। ডস একটি সিঙ্গেঁ ইউজার অপারেটিং সিস্টেম। ডস কমান্ড দুই প্রকার যথা :

       (1) Internal Command & (2) External Command

(1) Internal Command: কম্পিউটারে Operating System দিয়ে চালু করার সময় Command.Com নামক ফাইলের অন্তর্ভুক্ত যে সকল Command বা নির্দেশসমূহ প্রধান স্মৃতিতে সংরক্ষণ থাকে সেগুলোকে Internal Command বলে। যেমন : Cls, Date, Time, MD, CD, RD ইত্যাদি।

(2) External Command: যে সব Command Command.Com নামক ফাইলে থাকে না, কমান্ডের নামানুসারে আলাদা আলাদা ফাইলে থাকে সেইগুলোকে External Command বলা হয়। যেমন : Format, Copy, Fdisk ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন: What is WINDOWS?

উইন্ডোজ হচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনকর্তৃক তৈরী একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় System software। MS-DOS হচ্ছে বর্ণভিত্তিক একটি অপারেটিং সিস্টেম। অর্থাৎ DOS-এর বিভিন্ন Command দিতে হয় Key-Board থেকে টাইপ করে। অন্যদিকে, Windose Operating system হচ্ছে গ্রাফিক্স বা চিত্রভিত্তিক। এতে DOS-এর মত Command মুখস্ত রেখে বা টাইপ করতে হয় না। মাউসের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের (Icon) প্রতীক-এ ক্লিক করে বিভিন্ন মেনুস্থ অপশনে ক্লিক করে সহজেই কাজ করা যায়। এভাবে ইউন্ডোজের গ্রাফিকেল ইউজার ইন্টারফেস বা ব্যবহারকারীর সাথে চিত্রের মাধ্যমে হৃদ্য সর্ম্পক সৃষ্টির কারণে বর্তমানে উইন্ডোজের জনপ্রিয়তার শীর্ষে। Microsoft Corporation 1985 সালে সর্ব প্রথম এ প্রোগ্রামটি তৈরী করেন। ১৯৯০ সালে এর ভার্সন ছিল 3.0 এবং ১৯৯২ সালে 3.1 ও 3.11 ভার্সন বের হয়। উইন্ডোজের এ ভার্সনগুলো DOS নির্ভর। ১৯৯৫ সালের আগষ্ট মাসে সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে আসা Windows 95 একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এতে সংযুক্ত ইন্টারনেট প্রোগ্রামের মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় যোগাযোগ ও তথ্য আহরণ করা যায়। ইন্টারনেট প্রোগ্রামসমূহকে আরো সমৃদ্ধিশালী করে উইন্ডোজের পরবর্তী ভার্সন 98 বের হয়। এর পর উইন্ডোজের মিলেনিয়াম ভার্সন Windows ME  এবং Windows 2000 বের হয়। বর্তমানে উইন্ডোজ-এর সর্বশেষ ভার্সন Windows XP S1 –XP S7.

প্রশ্ন: Discuss with example the use of TYPE, REN, DEL, CD, MD, COPY, DELTREE, CLS and BACKUP Command.

অথবা: TYPE, REN, DEL, CD, MD, COPY, DELTREE, CLS এবং BACKUP কমান্ডসমূহের ব্যবহার উদাহরণসহ আলোচনা কর।

 

* TYPE-COMMAND:

TYPE কমান্ডের সাহায্যে কোন ফাইলের লেখাসমূহ (Contents) স্ক্রীনে প্রদর্শন করা যায়। যেমন:-

C:\>TYPE ADDRESS.PRG  (press enter key).

 

* REN-COMMAND:

REN হচ্ছে Rename এর সংক্ষিপ্ত রূপ। REN কমান্ডের সাহায্যে কোন ফাইলের নাম পরিবর্তন করা যায়। সে জন্য কমান্ডটি নিম্নরূপ হবে। যেমম:- C:\>Ren Rahim.doc Karim.doc  (press enter key).

 

* DEL-COMMAND:

DEL হচ্ছে DELETE-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। সাধারণত DEL কমান্ডের সাহায্যে একবারে একটি মাত্র ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট করা যায়। যেমন: D ড্রাইভে রক্ষিত IHT.doc ফাইলটি ডিলিট করতে হবে। সে জন্য কমান্ডটি নিম্নরূপ হবে।

C:\>DEL IHT.DOC (press enter key).

 

* DELTREE-COMMAND:

DELTREE হচ্ছে Delete Tree-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এখানে Tree বলতে ডিরেক্টরি-সাবডিরেক্টরি ফাইল-এর ট্রি বা গাছ বুঝানো হয়েছে। Deltree একটি শক্তিশালী কমান্ড। কমান্ডটির সাহায্যে কোন ডিরেক্টরিকে তার অন্তর্গত সকল সাব-ডিরেক্টরি ও ফাইলসহ মুছে ফেলা যায়। সাধারণত Del কমান্ডের সাহায্যে একবারে সাবডিরেক্টরিসহ কোন ডিরেক্টরি ডিলিট করা যায় না। DELTREE কমান্টির ব্যবহার হবে নিম্নরূপ-

C:\>DELTREE GAMES (press enter key).

উপরোক্ত কমান্ডটির ফলে Games নামক ডিরেক্টরিটি তার অন্তর্গত সাব ডিরেক্টরি ও ফাইলসহ মুছে যাবে।

 

* CD-COMMAND:

CD হচ্ছে Change Directory-র সংক্ষিপ্ত রূপ। এক ডিরেক্টরি থেকে অন্য ডিরেক্টরিতে মাইগ্রেট হওয়ার কমান্ড হচ্ছে CD । CD কমান্ডের মাধ্যমে এক ডিরেক্টরি থেকে অপর ডিরেক্টরিতে যেমন যাওযা যায় তেমনি বের হয়েও আসা যায়। যেমন যদি মনে করেন IHT ডিরেক্টরিতে ঢুকতে।

C:\>CD IHT (press enter key) CD লিখে এক ঘর ফাঁকা রেখে IHT লিখে এন্টার প্রেস করার পরে নিম্নরূপ প্রম্পট পাওয়া যাবে যেমন:- C:\IHT >

পূর্বে আমাদের অবস্থান ছিল সরাসরি রুট ডিরেক্টরিতে। বর্তমানে IHT এর মধ্যে। আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে নিচের কমান্ড প্রয়োগ করতে হবে।

C:\IHT >CD\  (press enter key)

CD লিখে ব্যাক স্ল্যাশ এন্ট্রি করে এন্টার চাপতে হবে ফলে নিচের প্রম্পট পাওয়া যাবে।

C:\>

ব্যাক স্ল্যাশ-এর পরিবর্তে ডাবল ডট ( ..) ও ব্যবহার করা যায়।

 

* MD-COMMAND:

MD হচ্ছে Make Directory-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। MD কমান্ডের সাহায্যে নতুন ডিরেক্টরি তৈরী করা যায়। উইন্ডোজ এক্সপ্লোয়ার-এ যেমন File > New > Folder অপশন প্রয়োগ করে নতুন ফোল্ডার খোলা যায়। ডসে তেমনি MD কমান্ডের সাহায্যে নতুন ফোল্ডার তৈরী করা যায়। তবে ডসে ফোল্ডার না বলে ডিরেক্টরি বলা হয়। যদি রুট ডিরেক্টরি C-তে IHT নামে একটি ডিরেক্টরি তৈরী করার প্রয়োজন হয় তবে কমান্ডটি হবে নিম্নরূপ যেমন:-

C:\> MD IHT (press enter key).

 

* COPY-COMMAND:

Copy গুরুত্বপূর্ণ একটি ডস্ কমান্ড। উইন্ডোজের যুগেও ডস-এর Copy কমান্ড প্রয়োজন হয়। কেননা উইন্ডোজ নষ্ট হলে অথবা ইউন্ডোজ লোড করার পূর্বে ডস মোডে হার্ডডিস্ক থেকে কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ব্যাকআপ করতে কপি কমান্ড প্রয়োজন হয়। Copy কমান্ড এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ফাইল Copy করে। এই কমান্ডের সাহায্যে এক ড্রাইভ থেকে অন্য ড্রাইভে, এক ডিরেক্টরি থেকে অন্য ডিরেক্টরিতে ফাইল কপি করা যায়।

ধারা যাক C ড্রাইভ থেকে IHT.doc ফাইলটি D ড্রাইভে Copy  করতে হবে, সে জন্য কমান্ডটি নিম্নরূপ হবে।

C:\>COPY IHT.DOC D  (press enter key).

****

প্রশ্ন:সার্ভার কি? What is Server?

সার্ভার (Server): একটি নেটওয়ার্ক প্রধান কম্পিউটারকে সার্ভার বা সেবক বলা হয়। নেওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটারসমূহ সার্ভার-এর সাথে সংযুক্ত থাকে। সার্ভার অন্যান্য কম্পিউটারসমূহে বিভিন্ন সার্ভিস বা সেবা প্রদান করে থাকে। সার্ভিসসমূহের মধ্যে ফাইল স্টোরেজ, ফাইল ব্যাকআপ, প্রিন্টার একসেস, ইউজার ম্যানেজমেন্ট, কমননেটওয়ার্ক কমান্ড, নিরাপত্তা বা সিকুরিটি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম (Network Operating System) সার্ভারেই বুট করা হয়।

 

প্রশ্ন: মডেম কি (Modem) :

ডেটা আদান প্রদানের এক গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক উপাদান হলো মডেম। মডেম কম্পিউটারের একটি হার্ডওয়্যার উপাদান। ইংরেজী মডুলেশন (Modulation) এবং ডিমডুলেশন (Demodulation) এ দুটি শব্দ থেকে মডেম (Modem) শব্দের উৎপত্তি। Modulation-এর Mo এবং Demodulation- এর Dem থেকে MODEM শব্দটি এসেছে।

 

 

 

 

 

 

 

** মডেমের ব্যবহার : কম্পিউটার ও টেলিফোন লাইনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্যের আদান-প্রদার সহায়তা করার জন্য মডেম ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল সংকেতকে এনালগ সংকেতে রুপান্তর করাকে মডুলেশন এবং এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তর করাকে ডিমডুলেশন বলা হয়।

 

 

 

 

কম্পিউটার শুধুমাত্র ডিজিটাল সংকেত নিয়ে কাজ করে না। প্রচলিত নেটওয়ার্কে ডেটা আদান প্রদানে টেলিফোন তার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু টেলিফোন তার ডিজিটাল সংকেত পরিবহন করতে পারে না। সুতরাং প্রেরণ কেন্দ্রে কম্পিউটার থেকে প্রাপ্ত ডিজিটাল সংকেতকে এনালগ সংকেতে রূপান্তর করার জন্য মডেম  ব্যবহার করা হয় এবং এই প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলে। আবার গ্রাহক প্রান্তে কম্পিউটার টেলিফোন তার থেকে এনালগ সংকেত গ্রহন করে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তর করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে ডিমডুলেশন বলা হয়। মডেম দু’ধরনের হয়ে থাকে যেমন: Internal Modem এবং External Modem.

 

প্রশ্ন:ইন্টারনেট কি?

ইন্টারনেট (Internet) হল পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারনের মাধ্যমে এক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে ভিন্ন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত কম্পিউটারের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেটওয়াকিং (Internet-working) বলা হয়। সে হিসাবে ইনটারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটওয়ার্কক বলা হয়।

 

প্রশ্ন: ইন্টারনেটের ব্যবহার কি বা ইন্টারনেটের ব্যবহার বলতে কি বুঝায়?

ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বের গতিময়তার মাইল ফলক। এটি তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার। ইহা যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানের একটি অন্যতম মাধ্যম। ইন্টারনেট দিয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সঞ্চালন ও আহরণ করা যায়। নিত্য নতুন উদ্ভাবনের ফলে দিন দিন ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা এবং তথ্যের সমারোহ বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেট কমার্স, ইন্টারনেট ফোন, ইলেকট্রানিক মেইল, ইলেকট্রানিক বুক, ইলেকট্রানিক লাইব্রেরী, ইলেকট্রানিক কাম্পাস এবং এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টারনেটর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।

 

প্রশ্ন: ইন্টারনেটের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা কর?

১৯৬৮ সালে শুরু করা ইন্টানেট প্রজেক্টের প্রাথমিক পর্যায়ে নাম ছিলো Arpanet, এটি শুরু হয় আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য ছিলো সামরিক বাহিনী ও সরকারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করা। Arpanet network সিস্টেমকে পরবর্তীতে Internet নাম ধারণ করে বর্তমান বিশ্বের একমাত্র আধিপত্য স্থাপন করে চলেছে।

১৯৬৯ সালে Arpanet এর মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রথম যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে ২১শে নভেম্বর (Interface message processor) IPM এর সহায়তায় দুরবর্তী ২টি কম্পিউটারের মধ্যে প্রথম যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। IPM # 1 কম্পিউটারটির অবস্থান ছিল লস এঞ্জেলসে এবং IPM # 2 কম্পিউটারটির অবস্থান ছিলো ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কের Stanford Research Institute-এ।

 

প্রশ্ন: Internet tools and software.

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কি?

          ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রধানত নিম্নলিখিত যন্ত্রপাতিগুলোর প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন:-

          ১। কম্পিউটার

          ২। মডেম (Internal/External/USB)

          ৩। টেলিফোন লাইন/উইএসবি মডেম

          ৪। প্রিন্টার

৫। ইন্টারনেট সংযোগ এবং

৬। ইন্টারনেট সফ্টওয়্যার

 

প্রশ্ন: ই-মেইল কি (E-mail) ?

ই-মেইল কি (E-mail): ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic mail) হচ্ছে ই-মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ই-মেইল হল কম্পিউটার ভিত্তিক একটি সংবাদ আদান-প্রদান ব্যবস্থা, এ ব্যবস্থায় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার কোন চিঠি (মেইল), ডকুমেইন্ট বা অন্য যে কোন প্রকার তথ্য পৃথিবীর যে কোন স্থানে অবস্থিত অপর এক বা একাধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে তড়িৎ গতিতে পাঠাতে পারে।

 

প্রশ্ন: ই-মেইল অ্যাড্রেস (E-mail Address) কি?

ই-মেইল অ্যাড্রেস (E-mail Address): ই-মেইল পাঠানোর জন্য প্রাপকের নাম বা পরিচিতিমূলক অন্য কোন শব্দ সম্বলিত ঠিকানাকে ই-মেইল এ্যড্রেস বলা হয়। এরূপ এ্যড্রেস হল : mas@yahoo.com, info@bangla.net ইত্যাদি। ই-মেইল এ্যড্রেসের প্রত্যেকটি অক্ষর ইংরেজী ছোট হাতের হয় এবং এতে প্রধানত তিনটি অংশ থাকে। প্রথম অংশ প্রাপকের নিজ নাম বা প্রতিষ্ঠান বা তার সংক্ষিপ্ত রূপ, দ্বিতীয় অংশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারী সার্ভার কম্পিউটারের নাম এবং সর্বশেষ অংশ সার্ভারের প্রকৃতি নির্দেশ করে। প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশের মধ্যে @ (এ্যটদিরেট) এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশের মধ্যে ডট ( . ) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।

 

** টপ লেভেল ডোমেইনসমূহকে আবার জেনেরিক এবং কান্ট্রি এ দুটি বৃহৎ ভাগে ভাগ করা হয়। নিম্নে সাত ধরনের জেনেরিক টপ লেভেল ডোমেইন দেখানো হল:

.com কমার্শিয়া = অর্থাৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

.gov গভর্ণমেন্টাল = রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।

.mil মিলিটারি = মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত।

.edu এডুকেশনাল = শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

.net নেটওয়ার্ক সার্ভিস।

.org অর্গানাইজেশন।

.int আন্তর্জাতিক সংস্থা।

****

প্রশ্ন: ইন্টারনেট প্রোটোকল কি? প্রচলিত প্রোটোকলগুলো কি কি?

যে নিয়ম-নীতি অনুসারে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের তথ্য আদান-প্রদানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠে তাকে প্রোটোকল (Protocol) বলা হয়। প্রচলিত প্রোটোকল গুলো হলো:

  • টিসিপি/আইপি (TCP/IP = Transmission Control Protocol / Internet Protocol)

  • এফটিপি (FTP = File Transfer Protocol)

  • এসএমটিপি (SMTP = Simple Mail Transfer Protocol)

  • এইচটিটিপি (HTTP = Hypertext Transfer Protocol)

  • এক্স.২৫ (X.25), এক্স.৪০০ (X.400),  ইত্যাদি।

প্রশ্ন: টিসিপি/আইপি (TCP/IP) ?

টিসিপি/আইপি (TCP/IP): টিসিপি/আইপি (TCP/IP) সারাবিশ্বে ইন্টারনেটের জন্য ব্যবহৃত একটি আদর্শ প্রোটোকল। এখানে TCP এবং IP এই দুটো প্রোটোকল একসাথে কাজ করে। IP নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত কম্পিউটারের নাম বা ঠিকানা নির্দেশ করে এবং TCP সেই ঠিকানা মতে তথ্য প্রেরণের ব্যবস্থা করে।

প্রশ্ন: ওয়েব ব্রাইজার (Web Browsers) কি?

ওয়েব ব্রাইজার (Web Browsers): ওয়েব ব্রাইজার হল এক বিশেষ ধরনের প্রোগ্রাম যা ওয়েব পেজ প্রদর্শনে ব্যবহৃত হয়। HTML ভিত্তিক ডকুমেন্ট পেজ প্রদর্শনের জন্য ইউনিক্স ভিত্তিক প্রথম গ্রাফিক্স ব্রাইজার প্রণীত হয়েছিল ১৯৯২ সালে। মাইক্রোসফ্ট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ও নেটস্কেপ নেভিগেটর বর্তমানে বহুল প্রচলিত দুটি ওয়েব ব্রাউজার। আরও কয়েকটি ওয়েব ব্রাউজার হলো Arena, Amaya, Opera, WWW ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ওয়েব সার্ভিস কি? (What is web service)?

ওয়েব সার্ভিস হল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত বিভিন্ন কম্পিউটারে চালু থাকা বিভিন্ন সফটওয়্যারের মধ্যে আন্তক্রিয়ার একটি ব্যবস্থা। ওয়েব সার্ভিসগুলো সাধারণত সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুসারে প্রকাশিত কিছু ইন্টারফেস। মূলত এটি ওয়েব সার্ভিস ডেসক্রিপশন ল্যাংগুয়েজে লেখা হয়। একটি সফটওয়্যার যখন ওয়েব সার্ভিস গ্রহণ করে তখন আসলে এটি সেরকম একটি ইন্টারফেসে বার্তা পাঠায়। এই বার্তা সোপ (SOAP) প্রটোকল মেনে চলে। সার্ভিসের অনুরোধ কিংবা উত্তর উভয়েই এক্স এম এল এ লেখা হয়।

ইন্টারফেস: ইন্টারফেস দুটি এনটিটির মধ্য যোগাযোগের মাধ্যম বা সীমানাকে সংজ্ঞায়িত করে।

এনটিটির: কমপিউটার সাইন্সের পরিভাষায় এনটিটি হল যেকোন সফটওয়ার, হার্ডওয়ার ডিভাইস অথবা কমপিউটার ব্যবহারকারী।

এক্স এম এল: এক্সটেনসিভ মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ বা XML একটি সাধারণ ব্যবহার উপযোগী মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ, যা দ্বারা বিভিন্ন ধরনের ডাটা বর্নণা করা যায়। মুলত, XML হল ডাটা বর্নণা করার একটি মাধ্যম।

প্রশ্ন: WWW কি?

WWW: ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ (WWW)-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে World Wide Web। সুইজারল্যান্ডের গবেষকদের দ্বারা উদ্ভাবিত এটি একটি হাইপারটেক্সট ডিস্ট্রিবিউটেড ইনফরমেশন সিস্টেম। এর মাধ্যমে হাইপারটেক্সট ভিত্তিক ডকুমেন্ট তৈরী ও সম্পাদনা করা যায়। টিম বার্নাস লী WWW-এর জনক।

প্রশ্ন: ওয়েব পেজ (Web Page) কি?

ওয়েব পেজ (Web Page): ওয়েব (Web)  অর্থ জাল। ইন্টারনেট তথা ওয়েবে যে কেউ তার সম্পর্কে কোন তথ্য রাখতে পারে। ওয়েবে কোন তথ্য যা লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির ছবি, এনিমেশন ইত্যাদি হতে পারে তা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে রাখা যায়। বর্তমানে সারা বিশ্বে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য ইন্টারনেটে তাদের পণ্য সম্পর্কিত তথ্য পরিবেশন করছে। ওয়েবে এরূপ কোন তথ্য রাখার স্পেস বা পেজকে ওয়েব পেজ বলা বলা। ওয়েব পেজ এক বা একাধিক পৃষ্ঠার হতে পারে। ইন্টারনেটে প্রবেশ করলে সর্ব প্রথম যে পেজটি প্রদর্শিত হয় সেটিকে হোম পেজ বলা হয়। ইন্টারনেটে সার্বক্ষণিক যুক্ত কোন বড় ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার যাকে সার্ভার বলা হয়, তাতে নির্দিষ্ট স্পেসের এবং সময়ের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওয়েব পেজ রাখা যায়। ইন্টারনেটে ওয়েব পেজটি যে সার্ভারে রাখা হবে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে। এটিকে ইউআরএল (URL = Uniform Resource Locator) বা ওয়েব এ্যাড্রেস বলা হয়। ইন্টারনেটে একটি ওয়েব পেজ খুলতে যা যা করতে হয় তা নিম্নরূপ:

  • প্রথমে একটি ডোমেন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

  • ওয়েজ পেজ ডিজাইন করতে হবে।

  • ওয়েব পেজটি নির্ভরযোগ্য কোন সার্ভারে ভাড়ার বিনিময়ে রাখতে হবে।

  • ওয়েব পেজটি আরো বেশি প্রচারমুখী করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিশন করতে হবে।

প্রশ্ন: এফটিপি (FTP) কি?

FTP: FTP-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে File Transfer Protocol। টিসিটি/আইপি (TCP/IP) নেটওয়ার্ক সিস্টেমে এই প্রোটোকল ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ বা প্রেরণ করা হয়। এটি একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার প্রোটোকল যা সার্ভার ও ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উভয়মুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। মডেম দ্বারা এরূপ যোগাযোগ রক্ষিত হয়।

প্রশ্ন: এইচটিটিপি (HTTP) কি?

HTTP: HTTP-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Hypertext Transfer Protocol। টিসিটি/আইপি (TCP/IP) নেটওয়ার্ক পরিমন্ডলে এই প্রোটোকল ব্যবহার করে ওয়েব সার্ভার এবং ওয়েব ক্লায়েন্টের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। এই প্রোটোকল ব্যবহার করে টেক্সট, গ্রাফিক্স, ইমেজ, সাউন্ড প্রভৃতি উপাদানের সমম্বয়ে ওয়েব ডকুমেন্টকে চোখ ধাঁধানো ও আকর্ষণীয় রূপে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। বস্ত্তত এইচটিটিপি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্য আদর্শ প্রোটোকল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন: হাইপারলিংক ও হাইপার মিডিয়া (Hyperlin & Hypermedia) কি?

হাইপারলিংক ও হাইপার মিডিয়া (Hyperlin & Hypermedia): প্রয়োজনে একটি ওয়েব পেজের সাথে অপর এক বা একাধিক ওয়েব পেজের সংযোগ (Link) স্থাপন করা যায়। এভাবে স্থাপিত সংযোগকে হাইপারলিংক (Hyperlink) বলা হয়। হাইপারলিংকের মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইট হতে তথ্যের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপর ওয়েব সাইটে সংযোগ করা সম্ভব। ওয়েব পেজের কোন হাইপারলিংক-এর উপর মাউস ক্লিক করলে তা ওপেন হয়, এজন্য আলাদাভাবে তার ঠিকানা লিখতে হয় না। হাইপারলিংক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়েব পেজে শব্দ, স্থির ও সচল চিত্র এবং এনিমেটেড ছবি ইত্যাদি সংযোগ করে ওয়েব পেজকে আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করে তোলা যায়। এ ধরেনর ওয়েব ডকুমেন্টকে হাইপারমিডিয়া (Hypermedia) বলা হয়।

প্রশ্ন: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে কি বুঝায়? What do you mean by Computer Network?

দুই বা ততোধিক কোন কিছুর মাধ্যমে সমম্বয় করার প্রক্রিয়াকে নেটওয়ার্ক বলা হয়।

তদ্রুপ Cable Modem বা Satellite-এর মাধ্যমে দুই বা ততোধিক কম্পিউটারকে সমম্বয়

করার প্রক্রিয়াকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলা হয়। নেটওয়ার্কিং-এর ফলে একটি কম্পিউটারে

একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে

যোগাযোগ, ডেটা আদান-প্রদান, ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রভৃতি কাজ করা যায়। শুধু পিসি বা

পার্সোনাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ককে পিসি নেটওয়ার্ক

বলা হয়। এ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত একটি পিসি অন্য পিসির প্রোগ্রাম,

ডেটা হার্ডওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। বর্তমানে পিসি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। উপর একটি

কম্পিউটার (পিসি) নেটওয়ার্কের চিত্র দেখানো হলো।

***

প্রশ্ন: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি? How many types of computer network?

নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোর অবস্থানের ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কসমূহকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা :- (১) লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network-LAN)

          (২) মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network-MAN)

          (৩) ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network-WAN)

                নিন্মে উপরোক্ত নেটওয়ার্কসমূহের ব্যাখ্যা দেয়া হলো:-

​(১) লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network-LAN):

এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাজের সমম্বয় সাধন ও গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একই ভবন, পাশাপাশি অবস্থিত ভবন অথবা একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত কম্পিউটারসমূহের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক বা সংযোগ গড়ে তোলা হয় তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের সংযোগ মাধ্যম হিসেবে সাধারণত জোড়া তার বা কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট:

* লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট হলো:-

* সীমিত এলাকর মধ্যে কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতা।

* উপাত্ত সঞ্চালনের হার সাধারণত সেকেন্ডে ১-১০০ মেগাবাইট।

* কম্পিউটারগুলো শ্রেণী সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।

* নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজ ও কম ব্যয়বহুল, ইত্যাদি।

 

(২) মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network-MAN):

একটি বড় শহর বা পাশাপাশি অবস্থিত কয়েকটি ছোট শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারসমূহের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক বা সংযোগ গড়ে তোলা হয় তাকে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়। এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের সমম্বয় সাধন ও গতি ত্বরান্বিত করা যায়। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক সংযোগ মাধ্যম হিসেবে সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল বা অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। এতে প্রাং লোকাল এরিয়া টেরওয়ার্কের অনুরূপ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় এবং উপাত্ত সঞ্চালনের হার সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাই বা তদুর্ধ্ব।

 

(৩) ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network-WAN):

বিশাল এলাকায় বিস্তৃত (যেমন: দেশ মহাদেশ বা বিশ্ব) কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলা হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী কম্পিউটার থেকে টেলিফোন সংযোগ অথবা ডেটা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দূরবর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়। ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা  পাওয়া যায়। যেমন:-

* সমগ্র নেটওয়ার্ক বিশ্বকে টেবিলে বসে প্রত্যক্ষ করা যায়।

* দূরবর্তী কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করা যায়।

* ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে বুলেটিন বোর্ড গঠন করা যায়।

* ইলেকট্রনিক মেইল প্রক্রিয়ায় বিশ্বের যেকোন স্থানে দ্রুত সংবাদ আদান-প্রদান করা যায় ইত্যাদি।

***

প্রশ্ন: কার্যক্ষেত্রের পরিধির উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্ককে কয় শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়?

উত্তর: কার্যক্ষেত্রের পরিধির উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্ককে প্রধান দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যেমন:

(১) ল্যান (LAN) :

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের (Local Area Network) সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ল্যান (LAN)। একটি প্রতিষ্ঠান বা একটি বহুতল ভবনে যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত থাকে তাকেই ল্যান বলা হয়। একটি বিল্ডিং বা পাশাপাশি অবস্থিত কয়েকটি বিল্ডিং এর মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত করতে ল্যান ব্যবহৃত হয়। একটি ল্যানে যুক্ত হতে পারে কয়েকশ ওয়ার্ক স্টেশন। একটি প্রোগ্রাম ল্যানে সংযুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ক স্টেশনেই চালানো সম্ভব। প্রোগ্রাম ছাড়াও ডাটা আদান-প্রদান করা যায় এবং প্রিন্টার, স্ক্যানার, সিডি রম ইত্যাদি শেয়ার করে ব্যবহার করা যায়। একটি মাত্র ইন্টারনেট কানেকশন সকল কম্পিউটারকে সহজেই যুক্ত করা যায়।

(২) ওয়্যান (WAN):

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network-WAN)-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে (WAN)। একটি বিস্তৃত এলাকা বা একদেশ থেকে অন্যদেশে যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কার্যপরিধি সেটিই ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত। ওয়্যানে একাধিক ল্যান রিমোট লিংক (Remote Link) এর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। রিমোট লিংক হিসেবে টেলিফোন লাইন, মাইক্রোওয়েভ কিংবা স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ ব্যবহৃত হয়। টেলিফোন লাইন ব্যবহারের  জন্য কম্পিউটারেম মডেম সংযুক্ত করা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃত ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। এটিকে গ্লোবাল এরিয়া নেটওয়ার্কও বলা হয়ে থাকে।

***

প্রশ্ন: নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology)?

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো সাধারণত তরের মাধ্যমে সরাসরি পরস্পর সংযুক্ত করা হয়। এই সংযুক্তি সুবিধাজনক ও লাভজনক করার জন্য কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে সুবিন্যস্ত করা হয়। এরূপ সুবিন্যস্ত পদ্ধিতিকে নেটওয়ার্ক সংগঠন বা টপোলজি বলা হয়।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে সাধারণত চার ধরনের টপোলজি ব্যবহত হয়। যথা:

১. বাস টপোলজি (Bus Topology)              ৩. স্টার টপোলজি (Star Topology)

২. রিং টপোলজি (Ring Topology)              ৪. ট্রি টপোলজি (Tree Topology)

 

১. বাস টপোলজি (Bus Topology): বাস টপোলজিতে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলো একটি সাধারণ বাস বা পরিবহণ মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত করা হয়। বাসের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার বা নোডে

সংকেত পাঠালে বাস লাইরে সাথে সংযুক্ত সকল কম্পিউটার ও যন্ত্রগুলো তাদের নোডের

সংকেত পরীক্ষা করে এবং কাঙ্খিত নোড সেই সংকেত গ্রহণ করে। এরূপ সংগঠনের

ক্ষেত্রে প্রতিটি কম্পিউটার আলাদাভাবে নোডের মাধ্যমে বাসের সাথে যুক্ত থাকে বিধায়

নেটওয়ার্কের তথ্য সংগঠনের কোন বাধার সৃষ্টি না করে তাদের প্রত্যেককে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বাস টপোলজি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

২. রিং টপোলজি (Ring Topology):

রিং টপোলজি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলো নোডের মাধ্যমে পরিবহণ বাসে বৃত্তাকারে সংযুক্ত

করা হয়। কোন কম্পিউটারে তথ্য বা সংকেত পাঠালে তা প্রয়োজনেপরবর্তী কম্পিউটারের নোড

গ্রহণ করে এবং পরবর্তী নোডের দিকে প্রবাহিত করে। এভাবে তথ্যের একমুখী প্রবাহ পুরো বৃত্তাকার

পথে ঘুরে আসে।

৩. স্টার টপোলজি (Star Topology):

স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলো একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। প্রত্যেক কম্পিউটার কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে তথ্য বা সংকেত পাঠাতে পারে। কেন্দ্রীয় কম্পিউটারটি

এক কম্পিউটার থেকে প্রাপ্ত তথ্য নেটওয়ার্ক সংযুক্ত অন্য কম্পিউটারে পৌঁছে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

তবে কেন্দ্রীয় কম্পিউটার কর্মক্ষমতা হারালে নেটওয়ার্কটি বিকল হয়ে পড়ে; কিন্তু অন্য কোন কম্পিউটার

বিকল হলেও নেটওয়ার্কের অন্য অংশের কাজে অসুবিধা হয় না।

 

 

৪. ট্রি টপোলজি (Tree Topology):

ট্রি টপোলজি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলো সরাসরি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত না

থেকে একটি বিশেষ অন্তর্বতী মাথায় যুক্ত থাকে এবং পরে এ অন্তর্বতী মাথাকে উচ্চ গতিসম্পন্ন সংযোগ

পথ দ্বারা কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা হয়।

 

 

****

External Modem
Modulation-and-Demodulation
একটি কম্পিউটার (পিসি) নেটওয়ার্ক
বাস টপোলজি
রিং টপোলজি
স্টার টপোলজি
ট্রি টপোলজি

প্রশ্ন:

****

প্রশ্ন:

****

© Created 1 December 2016, Design & developed by MAS.

  • Wix Facebook page
  • Twitter Classic
  • Wix Google+ page
FOLLOW US
bottom of page